বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বিহারে (Bihar) বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সরকারের সঙ্গ ত্যাগ করে কংগ্রেস (Congress) এবং লালু প্রসাদের আরজেডির হাত ধরেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। স্বাভাবিকভাবেই পতন হয় বিজেপির! এরপর থেকেই দেশের অন্যান্য প্রান্তে নীতীশ কুমারের জেডিইউকে (JDU) একের পর এক ধাক্কা দিয়ে চলেছে পদ্মফুল শিবির আর এবার মণিপুরেও সেই একই ঘটনার সাক্ষী থাকলো সকলে।
নীতীশের জনতা দলকে (ইউনাইটেড) ধাক্কা দিয়ে ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন বিধায়ককেই নিজেদের দলে টেনে নিলো বিজেপি। গতকাল জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন জয় কিষান সিং, আজাব উদ্দিন, গুরুসঙ্গলুর, এল এম খাউতে এবং অরুণ কুমার। ইতিমধ্যেই বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা বিজেপিতে যোগদান করার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিহারের পর মণিপুরেও নীতীশ কুমারের দ্বারা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার জল্পনা ক্রমশ সামনে আসতে থাকে আর তার আগেই জেডিইউয়ের ৫ বিধায়কের দলত্যাগ বর্তমানে বিহার মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট চাপে রাখল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে দেশের বুকে ক্ষমতা বিস্তার করার যে স্বপ্ন দেখে চলেছিলেন নীতীশ কুমার, তাতে বিরাট ধাক্কা লাগলো। সাম্প্রতিক সময়ে জনতা দলের তরফ থেকে একাধিক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নীতীশের উঠে আসার দাবি করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিহারের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য একাধিক রাজ্য ক্ষমতা বিস্তার করতে তৎপর হয়ে ওঠে তারা।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে উঠছে। অতীতে অরুণাচল প্রদেশে একাধিক জেডিইউ বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন আর এবার মণিপুর! পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে মণিপুরে ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে ৩২ টি আসন। এর ওপর পাঁচজন বিধায়কের যোগদানের ফলে তাদের আসন সংখ্যা দিয়ে দাঁড়ালো ৩৭। যদিও বিজেপির এহেন রাজনীতিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে নীতীশ কুমারের দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের পাশাপাশি অতীতে অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডে জেডিইউ তার প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়। তবে বর্তমানে নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের পাশাপাশি মণিপুরেও দলীয় বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদান জেডিইউয়ের জন্য বড় ধাক্কা। বর্তমানে বিহারের বাইরে তাদের কেবল মাত্র একজন বিধায়ক পড়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির পরিকল্পনাকে মাত দিয়ে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ান নীতীশ, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।