বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অনেক হিন্দু বাড়ির মহিলারা প্রতি সোমবার উপোষ থেকে মহাদেব শিবের (shiva) মাথায় জল ঢালতে দেখা যায়। সংসারের মঙ্গল কামনায় সকাল সকাল উপোষ থেকে স্নান সেরে বাবার মাথায় জল ঢেলে উপোষ ভাঙ্গেন এবং দিনভোর নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন।
দেশে থাকার পাশাপাশি গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে রয়েছে ভগবান শিবের বিভিন্ন মন্দির। দেখে নিন বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা ৫ টি শিব মন্দিরের ইতিহাস।
সোমনাথ মন্দির, গুজরাটঃ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পছন্দের এবং জনপ্রিয় তীর্থস্থান এই গুজরাটের সোমনাথ মন্দির। ধারণা করা হয়, শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গে মধ্যে প্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ এই মন্দিরেই আছে।
নটরাজ মন্দির, চিদাম্বরমঃ তামিলনাড়ুর এই মন্দিরে ভগবান শিবের মূর্তির বদলে শিবের নাটরাজ রূপের মূর্তি রয়েছে। দশম শতাব্দীতে চোলা শাসকরা তৈরি করেছিলেন এই মন্দির। নাট্য শাস্ত্রের ১০৮টি ‘করণ’ সুন্দর ভাবে মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা আছে।
বৃহদেশ্বরের মন্দির, থাঞ্জাভুরঃ ১০১০ সালে মহারাজা চোলা প্রথম এই মন্দির নির্মান করেছিলেন। এই মন্দিরকে ‘রাজারাজেশ্বরের মন্দির’ বা ‘রাজারাজেশ্বরম’ মন্দিরও বলা হয়। সম্পূর্ণ গ্রানাইট দিয়ে তৈরি এই মন্দির সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরের তালিকায় স্থান পাওয়ায় ইউনেস্কো ‘‘বিশ্ব হেরিটেজ’-র তকমা দিয়েছে। প্রায় ৮০ টনের একটি আস্ত গ্রানাইট পাথর রয়েছে মন্দিরের মাথায়। শুধু তাই নয়, মন্দিরের মূল দরজায় তিনটি পাথরের তৈরি বিশাল ষাঁড়ের মূর্তিও রয়েছে।
সন্মার্গ ইরাবান মন্দির, আমেরিকাঃ হাওয়াইয়ের ‘কিউই’ দ্বীপে অবস্থিত এই মন্দিরকে ইরাবান মন্দির বলা হয়। তামিল ভাষায় ইরাবান শব্দের অর্থ ‘ঈশ্বর’। বাস্তু শাস্ত্রের নিয়ম মেনে এই মন্দির তৈরি।
পশুপতিনাথ মন্দির, নেপালঃ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাগমতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত পশুপতিনাথ মন্দিরকে নেপালের সবচেয়ে পবিত্র শিব মন্দির হিসেবে গণ্য করা হয়। শিবপুরাণের ১১ তম অধ্যায় অনুযায়ী, মন থেকে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গের উপাসনা করলে, উপাসকের মনবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।