বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দেখা গিয়েছিল বিজেপির (bjp) বাংলা জয়ের স্বপ্ন সত্যি করতে, হাজার হাজার তৃণমূল (tmc) কর্মী সমর্থকরা গেরুয়ে শিবিরে এসে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় আবারও তৃণমূল ফিরে আসার পর, কিছুটা উল্টো ঘটনাই দেখা গিয়েছিল।
তবে এবার প্রবাহমান জলের ধারায় কিছুটা অন্য ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। নির্বাচনের পর এবার নন্দীগ্রামে ভাঙন ধরল শাসকদলে। শনিবার প্রায় ৫০ জন তৃণমূল সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপি শিবিরে। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি শুনেছি চাকরী না দিতে পেরে ঠেলাগাড়ি সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করছেন মাননীয়া। উনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যে বন্ধ হয়েছে একাধিক শিল্প এবং কর্মহীন, বেকার হয়ে বসে আছে বাংলার কয়েক হাজার যুবক’।
নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ হাইস্কুল সভাকক্ষে শনিবার বিকেলে বিজেপির কার্যকারিনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুন নায়েক সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্বরা। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের এই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনিমা ভুঁইয়া ও তার দলবল বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন। মমতা ব্যানার্জীর ছত্রছায়া ছেড়ে আশ্রয় নিলেন বিজেপির ঘরে। এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে এক মহিলা কর্মী জানান, ‘একজন পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে আমরা সকলে শুভেন্দুর হাত ধরলাম’।