বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) এরই মধ্যে অব্যাহত পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের ভাঙনের ঘটনা। এবার অনুব্রতহীন দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর পঞ্চায়েত বেলবুনী গ্রামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চাশটি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলো। দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা (Anup Saha) পুরো বিষয়টিতে নেতৃত্ব দেন।
যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁদের দাবি, ‘দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে দল। আর এখানে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা পদ্ম শিবিরে যোগ দিলাম।’ বিজেপির পক্ষ থেকের সকলকে স্বাগত জানানো হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয় এখানের সমস্ত মানুষই তৃণমূলকে হারানোর জন্য চেষ্ট।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম ও তৃণমূল ছেড়ে তপনে দু’টি এলাকা থেকে প্রায় ১৭০টি পরিবারের ২৫০-৩০০ জন যোগদান করলেন বিজেপিতে। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এ ছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে খবর, মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। মূলত এলাকার অনুন্নয়নের কারণেই এই যোগদান। গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির হয়।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘কয়েকশো লোক নয়, গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাও যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নন। বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি।’