বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অবাক করা ঘটনা সামনে এল বিহারের (Bihar) সমস্তিপুর (Samastipur) থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে ৫০ বছর বয়সী এক শিক্ষক ২০ বছরের ছাত্রীর প্রেমে (Love) পড়ে যান। এমতাবস্থায়, সেই প্রেমকে পূর্ণতা দিতেই শেষ পর্যন্ত বিয়েও করে ফেলেন তাঁরা। এদিকে, ইতিমধ্যেই তাঁদের বিবাহের ভিডিও সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে। যা তুমুল ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহ সংক্রান্ত একাধিক অবাক করা ভিডিও সামনে এলেও এই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে স্তম্ভিত হয়েছেন সকলেই। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০ বছর বয়সী ওই ছাত্রী ইংরেজি পড়ার জন্য বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে যেতেন। সেখানেই তিনি প্রেমে পড়ে যান ৫০ বছর বয়সী ইংরেজি শিক্ষকের। এমনকি, তাঁরা শেষপর্যন্ত একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করে ফেলেন। এমতাবস্থায়, তাঁদের এই বিবাহের ঘটনা সবাইকে ফের একবার মনে করিয়ে দিল মটুকনাথ ও জুলির প্রেমের কাহিনি।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম হল শ্বেতা কুমারী। তিনি সমস্তিপুরের রোসদা থেকে ওই কোচিং সেন্টারে পড়তে যেতেন। সেখানেই শ্বেতা ইংরেজি শিক্ষক সঙ্গীত কুমারের প্রেমে পড়ে যান। ধীরে ধীরে সঙ্গীতও শ্বেতার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায়, তাঁরা দু’জনেই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন।
মন্দিরে সম্পন্ন হয় বিয়ে: গত বৃহস্পতিবার সমস্তিপুরের একটি মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করে নেন। সেইসময়ে তাঁদের পরিচিত কয়েকজন ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, তাঁদের বিবাহের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, তাঁরা ওইসময়ে দু’জনেই বেশ হাসিখুশি ছিলেন। এদিকে, এই ভিডিও সামনে আসতেই তা রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
সঙ্গীতের প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইংরেজি শিক্ষক সঙ্গীত কুমারের প্রথম স্ত্রী বেশ কিছু বছর আগে মারা যান। তারপর সঙ্গীত আর বিয়ে করেন নি। এদিকে, শ্বেতা এবং তাঁর বাড়ির মধ্যে দূরত্ব হল মাত্র ৮০০ মিটার। এমতাবস্থায়, ওই কোচিং সেন্টারেই তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান।
মটুকনাথ-জুলির প্রেমের কাহিনি: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০০৬ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দির অধ্যাপক মটুকনাথ ও তাঁর ছাত্রী জুলির মধ্যে প্রেমের বিষয়টি সামনে আসে। পরে তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে অনেক তোলপাড়ও হয়। এমনকি জুলির জন্য মটুকনাথ তাঁর পরিবারকেও ছেড়ে চলে আসেন। এদিকে, তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্তও করা হয়। তারপরও দু’জনে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।