বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উত্তাল দিল্লি। অভিযোগ, দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিল একটি ৫০ বছরের পুরনো হনুমান মন্দির (Hanuman Temple)। ওই মন্দিরটি অবস্থিত ছিল দিল্লির (Delhi) রাজেন্দ্র নগরে।ঘটনার খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। ওই এলাকায় পৌঁছে হিন্দু ধর্মের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিরাট পুলিস বাহিনী।
জানা যাচ্ছে, রাজধানী দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে ৫০ বছরের পুরনো বজরংবলীর মন্দির ভেঙে ফেলা নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। ওই মন্দিরটি ভাঙা হচ্ছে খবর পেয়েই এলাকায় জড়ো হয় মানুষ। তাঁরা বুলডোজারের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে বন্ধ করা হয় মন্দির ভাঙার কাজ। এই ঘটনায় ফুঁসে ওঠে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, দিল্লি সরকার ভুল তথ্য নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে মন্দির ভাঙতে চায়।
জানা যাচ্ছে, রাজেন্দ্র নগরের শংকর রোডের ধারে একটি ৫০ বছরের পুরনো বজরংবলীর মন্দির ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই ডিডিএ-র দল বুলডোজার নিয়ে পৌঁছে যায়। সঙ্গে ছিল পুলিস বাহিনী। সেখানে পৌঁছেই বুলডোজার চালিয়ে দেয় মন্দিরের উপর। খবর পেয়েই হিন্দু ধর্মের লোকজন পৌঁছে যায়। বাধ্য হয়ে ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেয় ডিডিএ।
আগেও এমনি এক ঘটনা ঘটে। দিল্লির নগর নিগম হাইকোর্টের নির্দেশে ৫০ বছরের পুরনো হনুমান মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এই ঘটনা মেনে নেয়নি বজরঙ্গবলীর ভক্তরা। রাতারাতি গড়ে উঠল মন্দির। তবে এই মন্দির কে বানিয়েছে, আর কীভাবে একরাতেই বানিয়ে ফেলা হল, সেটা জানা যায়নি। দিল্লীর নগর নিগমের দাবি এই মন্দির হনুমানজির ভক্তরা বানিয়েছে l
২০২১ সালের প্রথম মাস থেকেই চাঁদনি চৌকের সৌন্দর্যায়ন করা শুরু হয়েছে। আর সেই কারণেই হনুমান মন্দিরটিকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। আর এর ফলে দিল্লীর কেজরিওয়াল সরকারের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এই ইস্যুতে দিল্লী নগর নিগমের বরিষ্ঠ আধিকারিক বলেছিলেন যে, আদালতের আদেশানুসারে মন্দিরটিকে ভাঙা হয়েছে। কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভক্তরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে মন্দিরটিকে পুনরায় নির্মাণ করেছে। এছাড়াও নবনির্মিত এই মন্দিরে পুরনো হনুমান মূর্তিটিকেই স্থাপনা করা হয়েছে।