বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। ভোট প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে সকল রাজনৈতিক দল। একদিকে যেখানে জনসংযোগ করে দলের ভিত শক্ত করতে উদ্যত সকলে, সেখানে ভোট পূর্বে ফের বড়সড় ভাঙ্গন ঘাসফুলে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুরে তৃণমূল (Trinamool) ছেড়ে লাল বাহিনীর পতাকা তুলে নিলেন প্রায় ৫০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী। সিপিএমএ (CPM) যোগদান করলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিও।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদার পাড়া হাই মাদ্রাসার মাঠে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বাম শিবির। জানা যায়, সেই সভাতেই তৃণমূল ছেড়ে লাল বাহিনীতে নাম লেখায় প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থক। দলবদলে নাম লেখান শঙ্করপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রহমতুল্লা গাজি , তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ওমর ফারুক হালদার সহ স্থানীয় একাধিক তৃণমূল নেতা। সভায় তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের দলত্যাগের কথা নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতাও। কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে তিঁনি জানান , “ওদের মধ্যে একজনকে দল বহিষ্কার করেছিল।” তবে ৫০০ কর্মীর দল ছাড়ার কথা স্বীকার করেননি তিঁনি। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “কতজন দল ছেড়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব।”
একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যেখানে দলের ভিত শক্ত করে চলছে শক্তি প্রদর্শন, সেখানে হঠাৎ এভাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দলবদলে যে যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে এদিন জোড়া ফুল ছেড়ে লাল শিবিরে যোগদান করেই শাসকদলের বিরুদ্ধে কড়া বার্তায় সরব হন শঙ্করপুরের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান, অঞ্চল সভাপতিরা। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁরা বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি ও স্বজন পোষনের বিরোধিতা করেই দলবদল করলেন।”