ক্লিনিক-স্বাস্থ্যভবনের ‘না’! সন্তান চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নিঃসন্তান দম্পতি! আদালত যা রায় দিল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় তিন দশকের বৈবাহিক জীবন। এখনও অবধি কোনও সন্তানের মুখ দেখেননি। সেই কারণে টেস্ট টিউব বেবি নিতে চেয়েছিলেন কাশীপুরের দম্পতি। তবে স্বামীর বয়সের কারণে নিয়মের গেরোয় আটকে যান। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হওয়ার তাঁদের মুখে হাসি ফুটল।

  • হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে মুখে হাসি ফুটল নিঃসন্তান দম্পতির!

উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে অনুমতি প্রদান করা হোক, এই আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। এদিন হাইকোর্টের তরফ থেকে তাঁদের টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) এই অনুমতি প্রদান করেছেন।

জানা যাচ্ছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে একটি ক্লিনিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তবে চলতি বছর জুন মাসে জানানো হয়, নিয়ম অনুসারে স্বামীর যে বয়স থাকার কথা, তার তুলনায় ওই ব্যক্তির বয়স বেশি। সেই কারণে স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhaban) থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ৫ ডিসেম্বর…! প্রাথমিকে CBI-এর মামলায় পার্থর জামিনের আবেদনে নয়া মোড়! জোর শোরগোল

এদিকে নিয়ম বলছে, অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির ক্ষেত্রে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের নির্ধারিত বয়সসীমা ২১ থেকে ৫৫ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ বছর। তবে ওই দম্পতির ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স ৫৮ বছর হওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকেও অনুমতি দেওয়া হয় না তাঁদের। শেষমেষ সন্তানের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

Couple seeking to have a child through IVF goes to Calcutta High Court Justice Amrita Sinha asked this

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, শুনানির সময় ওই দম্পতির উদ্দেশে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সিনহা। এই বয়সে সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান কিনা? প্রস্তুতি রয়েছে কিনা সেটা জানতে চান তিনি। জবাবে দম্পতির আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল অর্থনৈতিকভাবে সমর্থ। সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে যা যথেষ্ট। এছাড়া সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করার পর ওই দম্পতিকে টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার অনুমতি প্রদান করল আদালত।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর