বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৫ জি এর জের। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ১৪ টি ভারত- মার্কিন রুটের বিমান বাতিল করতে বাধ্য হল এয়ার ইন্ডিয়া। নিজেদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এমনটিই জানানো হয়েছে বিমান সংস্থার তরফে।
ঠিক কী ঘটেছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়েছে উচ্চগতির ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিষেবার ভালো মন্দ নিয়ে এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই ৫জি বিমান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত বিমানের নেভিগেশন এবং ব্রেকিং সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি করে ৫ জি তরঙ্গ। যে ব্যান্ডের মধ্যে এই ইন্টারনেট তরঙ্গ কাজ করে বিমানের অবতরণ এবং দিক নির্দেশনা সংক্রান্ত যন্তপাতিও কাজ করে সেই প্রায় একই ব্যান্ডে। ফলে বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি হয়ে দাঁড়ায়।
ইউএস এভিয়েশন রেগুলেটর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আগেই জানিয়েছিল যে বিমানের ব্রেকিং সিস্টেম এবং অল্টিমিটারের কাজে হস্তক্ষেপ করে ৫জি তরঙ্গ। এই কারণে দুর্ঘটনা এড়াতেই বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে।
আপাতত ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বিমান পরিষেবা চালায় ডেল্টা এয়ারলাইনস,আমেরিকান এয়ারলাইনস এবং এয়ার ইন্ডিয়া। এ ব্যাপারে কোনোরকম জবাবই অবশ্য পাওয়া যায়নি প্রথম দুই সংস্থার কাছ থেকে। এয়ার ইন্ডিয়া ট্যুইট করে জানায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা স্থাপনের কারণে বুধবার আটটি ভারত-মার্কিন ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে।” এই আটটি বিমান হল এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট: দিল্লি – নিউ ইয়র্ক, নিউ ইয়র্ক – দিল্লি, দিল্লি – শিকাগো, শিকাগো দিল্লি , দিল্লি – সান ফ্রান্সিসকো , সান ফ্রান্সিসকো দিল্লি , দিল্লি – নিউইয়র্ক এবং নিউইয়র্ক – দিল্লি। এরপর বৃহস্পতিবার আরও ৮ টি বিমান বাতিলের কথাও জানিয়ে দেয় সংস্থা।
এদিকে ডিজিসিএ প্রধান অরুণ কুমার জানিয়েছেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেই ব্যাপারে কাজ চলছে। কিন্তু এহেন অদ্ভুত ‘শ্যাম রাখি নাকি কূল রাখি’ সমস্যার মধ্যে পড়ে কার্যতই হতভম্ব বিশ্ববাসী। কবে মুক্তি মিলবে এই সমস্যা থেকে, সেই প্রশ্নের উত্তর এখন অধরাই।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট