বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মী ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আইনি টানাপড়েন চলছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন এই মামলা। বুধবার শীর্ষ আদালতে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে ফের একবার তা পিছিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেও অবশ্য সাময়িক ‘জয়’ হয়েছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। কীভাবে? তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় কীভাবে সাময়িক ‘জয়’ সরকারি কর্মীদের?
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো সহ বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেশ কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। বর্তমানে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। বুধবার ফের একবার সেই মামলার শুনানি পিছিয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়, আগামী জুলাই মাসে পরবর্তী শুনানির দিন দেওয়া হোক। কনফেডারেশনের আইনজীবীরা তার জোরালো বিরোধিতা করেন। শেষমেষ ১৪ মে শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
গতকাল শুনানি পিছনোর পর আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, ‘আজ আমাদের মামলা দু’নম্বর আইটেমে শুনানির জন্য নির্দিষ্ট করা ছিল। তবে সরকারপক্ষের আইনজীবী (অভিষেক মনু সিংভি) জানান, তিনি আজ থাকতে পারবেন না। কারণ অন্য আদালত কক্ষে একটি পার্ট হার্ড ম্যাটার চলছে। তিনি মামলাটি জুলাই মাসে রাখার দাবি করেন। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। আগামী ১৪ মে দুপুর ২টোয় মামলা ফিক্সড করা হয়েছে। আর কোনও নড়চড় হবে না’।
আরও পড়ুনঃ ‘জনগণের চাপে মিউ মিউ করছে’! অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপের
একই কথা জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় ও সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র। তাঁরা জানান, ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কর্মীপক্ষের অন্যান্য আইনজীবীরা সম্মিলিত আপত্তি জানান। তাঁরা আগামী ৮ মে মামলাটি রাখার অনুরোধ জানান। মাননীয় বিচারপতিরা আগামী ১৪ মে দুপুর ২টোয় মামলাটি রাখেন’।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলার সুপ্রিম শুনানি একাধিকবার পিছিয়েছে। বুধবারও দেখা যায় একই ছবি। তবে কর্মীপক্ষের আইনজীবীদের অনুরোধ শুনে মে মাসেই ফের শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাতেই সাময়িক ‘জয়’ দেখছেন অনেকে।