বাংলাহান্ট ডেস্ক : অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে জল্পনা কল্পনা বহু দিনের। বহু দিন থেকেই চলছে এই মন্দির তৈরীর কাজ। শেষ পর্যন্ত ঘোষণা করা হলো এর উদ্বোধনের (Inauguration Date) দিন। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই খুলে দেওয়া হবে এই মন্দিরের মুখ্য দ্বার। ভক্তরা বহুদিন ধরেই অপেক্ষা করে আছেন এর জন্য। এই মন্দিরের শ্রী রামের মূর্তিটি তৈরী করা হবে নেপালের (Nepal) শিলাগ্রাম পাথর দিয়ে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে আরও অন্যান্য দামী শীলা এবং পাথর।
জানা গিয়েছে, নেপালের এই শিলাগ্রাম পাথর আনা হয়েছে ওই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত কালী গন্ডকি নদীর উপত্যকা থেকে। সেখান থেকে ৩০ টন ওজনের দুটি বিশাল আকারের পাথর ভারতে আনা হয়েছিল। পাথর দুটি প্রায় ৬ লক্ষ বছর পুরোনো। এখনো রামের মূর্তি তৈরী করা বাকি। তাই আপাতত ওই দুটি মূর্তিকে ভব্য রূপে পুজো করা হবে। নেপালের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী বিমলেন্দ্র নেপাল থেকে ভারতে এসেছেন ওই পাথর বহন করার সময়ে।
পাথরগুলির ওজন যথাক্রমে ১৮ এবং ১২ টন করে। এগুলির উচ্চতা ৬ এবং ৫ ফিট, এবং দুটি পাথরই ৪ ফিট করে চওড়া। কিন্তু কী কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে এতো পুরোনো এই পাথর? প্রথমেই আপনার জেনে রাখা দরকার যে, এই শিলাগ্রাম পাথরকে মনে করা হয় যে এটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার স্বরূপ। আর এই পাথর শুধু ওই গন্ডকি নদীর উপত্যকাতেই মেলে। সেখানে হিমালয় থেকে আগত বিভিন্ন নদীর জল এই পাথরগুলিকে ভেঙে দেয়।
এছাড়াও গবেষকরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে, এই পাথরে প্রায় ৩৩ রকমের প্রাণীর জীবাশ্ম মিলিত আছে। তাছাড়া মনে করা হয় যে, এই পাথরে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আছে। তাই ওই পাথর থেকে শুধু শ্রী রাম নয়, মাতা লক্ষ্মীর মূর্তিও তৈরী করা হবে। আরও তথ্য অনুসারে আগামী বছরের মকর সংক্রান্তির দিনে সমস্ত বিধি মেনে শ্রী রামের পুজো করা হবে ওই পাথরে।