চেক জাল করে রাম মন্দির ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লক্ষ টাকা গায়েব, দায়ের হল FIR

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অবশেষে ভগবান রামের (Lord Rama) ঘরেই সিঁধ কাটল একদল প্রতারক। রাম মন্দির (Ram temple) নির্মানের পূর্বের বহু বাঁধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে মন্দির নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর মধ্যেই ঘটে গেল আরও এক বিপত্তি। অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের থেকেই এবার টাকা চুরির অভিযোগ উঠল। সূত্রের খবর, চেক জালিয়াতি করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা গায়েব করার এই ঘটনায় নিন্দার রোল উঠেছে বিভিন্ন দিকে।

তদন্তে নেমেছে পুলিশ
প্রাথমিক তদন্তে ডিআইজি দীপক কুমার জানিয়েছেন, সাধারণত চেকের নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বর গ্রাহকের কাছে এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে। সেক্ষেত্রে চেকের সিরিয়াল নম্বর প্রতারকদের কাছে গেল কিভাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই কাজে কোন ব্যাংক কর্মী জড়িত কিনা কিংবা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ramjanma

ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, প্রতারকরা যে সিরিয়াল নম্বরের চেক দু’টি ভাঙিয়েছে, তাতে চম্পট রাই এবং ট্রাস্টের আর এক সদস্যের সই-ও রয়েছে। সেই নকল চেক থেকেই ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পট রাইয়ের কাছে বুধবার বিকেলে একটি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্টে মন্দিরের অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ট্রান্সফারের জন্য ভেরিফিকেশন কল করা হয়। তখনই তিনি সবটা জানতে পারেন। কিন্তু ততক্ষণে ১ লা সেপ্টেম্বর ও ৩ রা সেপ্টেম্বর ৫ লক্ষ ও ৩.৫ লক্ষ টাকা নকল চেকের মাধ্যমে তুলে নেয় প্রতারকরা।

এফ আইআর দায়ের করা হয়েছে
তীর্থ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পাত রাই জানিয়েছেন, ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ফোন আসায়, তখন তিনি সবটা জানতে পারেন। এমনকি সেই চেকের উপর তাঁর এবং মন্দির কমিটির এক বিশ্বস্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরও করা ছিল। সমস্ত ঘটনাটিতে তিনি খুব হতবাক হয়েছেন। চম্পাত রাইয়ের কথার উপর ভিত্তি করেই, অজ্ঞাত পরিচয় প্রতারক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফ আইআর দায়ের করা হয়েছে পুলিশের কাছে।

প্রতারকদের খোঁজে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই খবরে চারিদিক থেকে নানা জনে নানা রকম মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আঞ্চলিক মুখপাত্র শরদ শর্মা।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর