বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রথমেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাশ হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি। বিশেষ করে অসম। তারপর ত্রিপুরা ও মেঘালয়। এরপর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতার আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেষ শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে উত্তেজিত জনতা। তবে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় নামল আরও ছয় রাজ্য।
দিল্লী, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, কেরলের পর এবার মধ্যপ্রদেশ। এখন সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই এই আইন মানতে নারাজ। এমনিতেই ভোটগুরু প্রশাান্ত কিশোর সমস্ত রাজ্যের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের এক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন।সেই পথেই হাঁটল আরও ছয় রাজ্য। এমনিতেই মহারাষ্ট্রের তরফেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল না মান নিয়েই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তাই তৃণমূল, কংগ্রেস, আপ ও বামেরা এবার একজোট হয়ে বিরোধিতার সুর তুলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আগেই বলেছিলেন রাজ্যে কোনোভাবেই এনআরসি ও সিএবি করতে দেওয়া যাবে না।এমনকি কংগ্রেস সাংসদ প্রদীব ভট্টাচার্যও এটিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে মতো আর যে বেশ কয়েকটি রাজ্য একই পথে হাঁটছে তাতেই উত্সাহিত তৃণমূল নেতৃত্বরা।
যদিও বিজেপির তরফে বার বার তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে বলে দাবি তোলা হয়েছে। এমনকি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কিছু কারণ নেই বলেও জানানো হয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূলের প্রতিবাদ শুনে মনে হচ্ছে, দেশের সব মুসলিমদের নাগরিকত্ব চলে যাবে। আইন তো তা বলে না।’’