গালওয়ানে মরেছে চীনের ৬০ জওয়ান! আমেরিকার রিপোর্টে মুখ পুড়ল বেজিংয়ের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আর চীনের (China) মধ্যে আজকাল সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। আর এর প্রধান কারণ হল সীমান্ত নিয়ে চলা বিবাদ। আর এরমধ্যে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম নিউজ উইক (Newsweek) বড়সড় তথ্য প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের জওয়ানদের সাথে ১৫ জুন রাতে হওয়া সংঘর্ষে ৪০-৪৫ না, ৬০ জন চীনা জওয়ান মারা গিয়েছে। ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, গালওয়ানে হিংসা চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিংপিংয়ের ইশারাতেই হয়েছে। তবে চীনের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

galwan 10 things to know about the latest india china battle at 14000 ft

রিপোর্টে আশঙ্কা জাহির করে বলা হয়েছে যে, চীন নিজেদের বিফলতার কারণে ক্ষোভে আছে। আর তাঁরা আবারও বড়সড় কিছু করতে পারে। এই হারে রেগে লাল চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পিপলস লিবারেশন আর্মি থেকে বিরোধীদের বের করে নিজেদের মানুষকে বড় পদে বসাতে পারে। জিনপিং এই হারের বদলা হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উত্তেজিত। সেই হিসেবে আগামী দিন গুলোয় সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নভেম্বর ২০১২ সালে জিনপিং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব হওয়ার পর ভারতের সীমান্তে চীনের সেনার আক্রমণাত্বক মনোভাব বেড়েছে। জিনপিং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সভাপতি আর দলের মহাসচিব। ভারত আর চীনের সীমান্ত নিরধারিত না, চীনের সেনা বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।

ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজ এর ক্লিপ পাস্কলের সুত্র থেকে নিউজ উইক লেখে, রাশিয়া মে মাসে চীনের গতিবিধি নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছিল। রাশিয়া অনুযায়ী, চীন তিব্বতের এলাকায় আগে থেকেই সামরিক অভ্যাস চালাচ্ছিল। আর এই কারণে গালওয়ানে ১৫ জুন রাতে সংঘর্ষ হওয়ায় ভারত অবাক হয়ে গিয়েছিল। এটা বিশ্বের দুই সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশ যারা ৪৫ বছর পর এরকম সংঘর্ষে লিপ্ত হল।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর