আতঙ্কবাদী হামলা থেকে অমরনাথ শ্রদ্ধালুদের রক্ষা করতে নিযুক্ত করা হলো ৬০ হাজার জওয়ান!

অমরনাথ যাত্রার সময় সরকার এবার সেই সব ব্যাবস্থা করছে যাতে ইসলামিক আতঙ্কবাদীদের উদেশ্যকে বিফল করা যায়। কিছুদিন আগেই ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি থেকে ইনপুট এসেছিল যে অমরনাথ ধাম যাত্রার সময় হিন্দু উপাসকমণ্ডলীদের লক্ষ করতে পারে আতঙ্কবাদীরা। এরপর কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ উপাসকমণ্ডলীদের সুরক্ষাকে নজরে রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয় নেয়। অমরনাথ যাত্রাকে সফল ভাবে সঞ্চালিত করার জন্য সুরক্ষা হিসাবে ৬০০০০ জোয়ানকে লাগানো হয়েছে। বালটাল ও পুলগাম রুটে এই জোয়ানদের পোস্ট করা হবে । রবিবার (৩০ জুন, ২০১৯) উপাসকমণ্ডলীর প্রথম গ্রূপ জম্মুতে অবস্থিত বেস ক্যাম্প থেকে রওনা করা হয়েছে।

অমরনাথ যাত্রার সময় মোটামুটি ৪০০০ ফিটের উচ্চতায় যেতে হয়, এইজন্য এটি অনেক কঠিন যাত্রা। সুরক্ষার জন্য বেশিরভাগ CRPF এর জোয়ানদের কাজে লাগানো হয়েছে ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের জোয়ানদেরও কাজে লাগানো হয়েছে। CRPF আইজী রবিদীপ সহায় জানিয়েছেন তাদের জন্য এক প্রোগ্রামের মতন এবং সুরক্ষা ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা করা হয়েছে। উনি বললেন এর জন্য ভারতীয় সেনা, BSF, CRPF ও জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।

CRPF এর আইজী জানিয়েছে রাতের সময়ও সুরক্ষা ব্যাবস্থা কড়া রাখা হবে যাতে উপাসকমণ্ডলীর কোনোরকমের অসুবিধা না হয়। যাত্রার অনায়াসের জন্য কেন্দ্র সরকার টেকনোলজির সাহায্য নিয়েছে। সব গাড়ি গুলিকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ (RFI) দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। এরফলে সুরক্ষাকর্মীদের উপাসকমণ্ডলীর সঠিক লোকসানের জ্ঞান হতে থাকবে।  জনহীন এরিয়াল বাহনের (UAVs) সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এরফলে উপাসকমণ্ডলীর পুরো অবস্থা জানা যায়। এছাড়া CCTV ক্যামেরার প্রয়োগও করা হয়েছে। এরকম নয় যে যাত্রায় শুধু সন্ত্রাসবাদের চিন্তা আছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও চিন্তার অন্য কারন আছে।

আবহাওয়া সমস্যার সম্মুখীনও যাত্রীদের হতে হয়, এই জন্য ‘কাস্টমাইজ ওয়েদার আপডেট’  টেকনোলজির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এর সাহায্যে আবহাওয়ায় হওয়া পরিবর্তনের খবর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাবে। জুলাই বা আগস্টের সময় বর্ষা কাল থাকে আর বর্ষার কারণে যাত্রীরা  প্রতিটি ক্যাম্পে ৩ঘন্টা অন্তর আবহাওয়ার জানকারী পেতে থাকবে। যাত্রার বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ‘মাউন্টেন রেসকিউ টিম’ কে স্ট্যান্ড বাইতে রাখা হয়েছে, যাতে কোনো দুর্যোগের সময় তাদের সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সরকার ও সুরক্ষা বল সব সদরে কাজ করছে আর প্রস্তুতি রাখছে। উপাসকমণ্ডলীদের বিশ্রাম ও ভোজনের জন্য বিভিন্ন ব্যাবস্থা করা হয়েছে, যেখানে তারা থেকে বিশ্রাম করতে পারবে। সুরক্ষা ও আবহাওয়া নিয়ে করা ব্যাবস্থা ছাড়া যাত্রীদের সুবিধারও পুরো খেয়াল রাখা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর