CAA আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলেছে। কিছু জায়গায় মানুষ দাবি করেছে CAA এর আওতায় মুসলিমদেরও আনা হোক। অর্থাৎ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিমদেরও এই আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছে অনেকে। অন্যদিকে কিছু জায়গায় লোকজন অন্যের দ্বারা উস্কানি পেয়ে রাস্তায় ভাঙচুর করতে নেমে পড়ছে। সব মিলিয়ে দেশকে অশান্ত করার একটা বড়ো পক্রিয়া চলছে।
এর মধ্যেই CAB বিলের সমর্থনে কত মানুষ রয়েছেন তার সমীক্ষা সামনে এসেছে। বেশিকিছু হাজার মানুষকে নিয়ে করা এই সমীক্ষা চমকে দেওয়ার মতো রিপোর্ট দিয়েছে। CVorter এর সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের ৬২% মানুষ এই আইনের (CAA) সমর্থন করেছে। একই সাথে ৬৫% মানুষ পুরো দেশজুড়ে NRC লাগু করার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর অবধি হওয়া এই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পূর্ব ভারত, পশ্চিম ভারত, উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতে যথাক্রমে ৫৭.৩%, ৬৪.২%, ৬৭.৭%, ৫৮.৫% মানুষ CAA এর সমর্থন জানিয়েছেন। পুরো দেশে ৬২.১ শতাংশ মানুষ এই আইনের সমর্থন করেছে অন্যদিকে ৩৬.৮ মানুষ আইনের বিরোধিতা করেছে। উত্তরপূর্ব ভারতে CAA আইনের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি আন্দোলন হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী সেখানে ৫০.৬% মানুষ আইনের সমর্থন করেছে এবং ৪৭.৪ শতাংশ আইনের বিরোধ করেছে।
সমীক্ষার রিপোর্টে এটাও বলা হচ্ছে যে, ৬৩.৫% মুসলিম এই আইনের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে ৩৫.৫ শতাংশ মুসলিম এই আইনের বিরোধিতা করেছে। প্রসঙ্গত, দেশে CAA নামে যে বিরোধ হচ্ছে তার বেশিরভাগটাই NRC এর জন্য। আসলে একটা ভ্রান্তি মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে NRC এর জন্য মুসলিমদের কাছে ১৯৭১ সালের ডকুমেন্ট চাওয়া হবে।
কিন্তু আসলে এই নিয়মটি শুধুমাত্র আসামের জন্য, পুরো ভারতে NRC হলে তার জন্য ১৯৭১ সালের কোনো ডকুমেন্ট লাগবে না। এমকি সাক্ষী দিয়েও নিজেকে এদেশের প্রমান করার সুযোগ থাকবে। তবে একটা গুজব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে মুসলিম সমাজের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যত সময় যাবে মানুষ বিষয়গুলি বুঝতে পারবে তখন কোনো বিরোধ হবে না।