বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যে হারে ডিএ (Dearness Allowance) পান সেই হারে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ। এই দাবিতে ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutha Moncho)। অবস্থান বিক্ষোভ থেকে শুরু করে ধর্মঘট কোনোকিছুই আর বাকি রাখেনি আন্দোলনকারীরা। দিনের পর দিন কঠিন হতে চলেছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। এই যেমন আজ থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল যৌথ মঞ্চ।
তবে শোনা যাচ্ছে আসন্ন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে স্থগিত করা হচ্ছে কর্মসূচি। তবে পরীক্ষা শেষ হলেই শুরু হবে ধর্মঘট। অর্থাৎ আসন্ন মার্চ থেকেই শুরু হবে নয়া কর্মসূচি। দিন কয়েক আগেই ডিএ আন্দোলনের বর্ষপূর্তি হয়েছে। মাঝে আন্দোলনের ঝাঁঝ খানিকটা কমলেও ফের নয়া আন্দাজে শুরু হয়েছে আন্দোলোন। আজ প্রায় ১০ দিন যাবত অনশন করছেন ৪ জন আন্দোলনকারী।
সূত্রের খবর, এর মধ্যে ৪জনই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল সরকারি কর্মীদের সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ খানিক অভিমান মিশিয়ে বলেন, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বাদ দিয়ে কেউই তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। এর আগে একবার বাম ও কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা ডিএ আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বললেও এবার কেবল শুভেন্দু অধিকারীই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল! ১১,৭৬৫ জন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার নির্দেশ এসেছে খোদ অমিত শাহের তরফ থেকে। এমন আবহে শাসকদলের তরফ থেকে কেউই খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেনি বলেই জানাচ্ছেন ভাস্কর ঘোষ। নেতাজি জয়ন্তীর দিন, শুভেন্দু বলেন, ‘সরকারি কর্মীরা সচেতন। সংবেদনশীল। কিন্তু ২০১৬ সালের পর তারা এই সরকারের স্বরূপ বুঝেছেন। বুঝেছেন যে তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কর্মীরা দেখেছেন আবাস যোজনা থেকে শৌচালয়। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে।’
আরও পড়ুন : করোনা মহামারির সময় কেন থালা বাজাতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী? ৪ বছর পর নিজেই করলেন খুলাসা
বিরোধী দলনেতা শাসকদলকে নিশানা করে বলেন, ‘এই সরকারি কর্মচারীরা দেখেছেন স্থায়ী ৬ লক্ষ পোস্ট অবলুপ্ত করছে সরকার। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছেন চার হাজার থেকে বারো হাজার। পিএসসি-র কর্মচারীরা আমায় তথ্য দেন। এমনকী বামপন্থী কর্মচারীরা আমায় জানিয়েছেন… পিএসসি অফিসকেও বাদ দেওয়া হয়নি। মিড ডে মিলের টাকায় কম্বল বিতরণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত। এই সকল সরকারি কর্মচারীদের তিনি তার পক্ষে পাবেন না আগেই বুঝে গিয়েছেন। তাই এদের ডিএ আটকে আছে। এদের তিনি পোস্টাল ব্যালটে পাবেন না। তাই এদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নেওয়া হয়েছে। এই অনশনকারীদের কিছু হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। ভাস্করবাবুকে বলব, নবান্ন অভিযান করুন। আমরা পাশে আছি। এরা প্রাণ আত্মাহুতি দিতে চায়। চাকরি যাওয়ার ভয় এরা করে না।’