দূর হল চিন্তা! পুজোর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মেমো জারি করল অর্থ দফতর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আগেই (State Government Employees) রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য চালু হওয়া স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল সরকার (Government of West Bengal)। সম্প্রতি সরকারি কর্মী তথা পেনশনভোগীদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেলের দ্বারা। কি বলা হয়েছে তাতে? জেনে নিন।

সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেলের তরফ থেকে এক মেমোব়্যান্ডাম জারি করা হয়েছিল। যে সকল রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা হেল্থ স্কিমের অধীনে আছেন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। যদিও এই নিয়র তবে অনেকের মনেই কিছু সংশয় রয়েছে। যাতে কোনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয় তাই নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে।

আসলে কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় আসবেন কিনা বা এর সুবিধা মিলবে কি না এই সব বিষয় পরিষ্কার করতে অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেলের তরফ থেকে এই মেমোব়্যান্ডাম জারি করা হয়েছিল।

তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যে সকল কর্মচারীর পরিবার হেল্থ স্কিমের অধীনে আছেন, যদি কর্মরত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মীর মৃত্যু হয় তারপরও তার পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে থাকবেন। তবে যদি সেই সরকারি কর্মীর পরিবারের নামে ফ্যামিলি পেনশন থাকে তাহলেই একমাত্র এই সুবিধা মিলবে। নয়তো স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় সুবিধা মিলবে না।

nabanna mamata 1 1

আরও পড়ুন: ‘এরপর মমতা আর অভিষেক..,’ কলকাতা যাওয়ার পথে অবশেষে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল

আবার যদি ফ্যামিলি পেনশনার থেকে থাকেন এবং তাঁরও মৃত্যু হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও তারপর আর এই সুবিধা মিলবে না। অর্থাৎ ফ্যামিলি পেনশনারের মৃত্যুর পর তার নামের জায়গায় অন্য কাউকে এই হেল্থ স্কিমে যোগ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে যদি কর্মরত অবস্থায় কোনও কর্মীর মৃত্যুর পর যদি তাঁর জায়গায় অন্য কেউ ‘কমপ্যাশনেট নিয়োগ’ পান, তাহলে সেক্ষত্রে নবনিযুক্ত কর্মী এবং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। ফ্যামিলি পেনশনার হিসেবে সেই সুবিধা আর মিলবে না।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর