বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী মানেই যেন তাঁদের কপাল সোনায় মোড়া। লোকসভা নির্বাচনে দিন ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা বাড়িয়ে বিরাট উপহার রাট উপহার দিয়েছিলেন। সেসময় এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে শোনা যাচ্ছে এই নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্রের তরফে আনা হবে অষ্টম বেতন কমিশন। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিলেন তিনিও।
এক ধাপে তিনিও ৪ শতাংশ ভাতা বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করে দিয়েছিলেন। এসবের মধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে সপ্তম বেতন কমিশন। বিগত কয়েক মাস ধরেই নতুন বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন সরকারি কর্মচারীরা। তাই এই মুহূর্তে বেতন বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারের দিকে এক প্রকার চাতক পাখির মতোই তাকিয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ্য সরকারি কর্মচারীসহ লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা।
অন্যদিকে গত ১৬ মার্চ রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল কর্ণাটকের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে। সেখানে কর্ণাটকের সরকারী কর্মীসহ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা তাঁদের দাবি তুলে ধরেছিল।
আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়বে গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষার খরচ! কবে থেকে, কত টাকা? জানাল পরিবহণ দফতর
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল তাঁদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেসময় সরকারী কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছিল ভোট পর্ব মিটে গেলে সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ১২ জুন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকায় তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সরকার। তবে বলে রাখি, এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক নোটিশ দেওয়া হয়নি।
এসবের মধ্যেই গত ১৫ জুন ডিকে শিবকুমার জানিয়েছেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের সমস্যা সম্পর্কে আমরা সচেতন। মন্ত্রীরাও সরকারি চাকরিজীবী। আসুন আমরা সবাই সততার সাথে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। সরকার সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পর্যায়ক্রমে কর্মচারীদের সব দাবি পূরণ করা হবে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তার প্রমাণও মিলেছে।’
তবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে কোনও কথা ওঠেনি। অন্যদিকে সরকারের প্রতি অগাধ বিশ্বাস কর্মীদের। তাই কর্ণাটক রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনের সভাপতি সিএস সদাকশড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন তাঁরা আশাবাদী রাজ্য সরকার জুনের শেষ সপ্তাহে বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেবেন।