বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মামলা ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টে। চলতি মাসেই সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চাপে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকারি কর্মীদের সংগঠন সরকারি যৌথ মঞ্চ। এরই মাঝে পে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিপাকে রাজ্য।
পে কমিশনের রিপোর্টে কারচুপি!
কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে একটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই নিয়েই এবার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এল। যা রাজ্য সরকারের জন্য যথেষ্টই চিন্তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিটি ফোরামের তরফ থেকে রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশন সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার চেষ্টা করছিল। জল এতটাই গড়ায় যে এই নিয়ে মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সেখানে জয় পেয়েছিল সরকারি কর্মীদের সংগঠন জয়লাভ করেছিল।
ইউনিটি ফোরামের আবেদন মেনে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এত কিছুর পরও রাজ্য আদালতের সরকার নির্দেশ মানেনি। আদালতের নির্দেশে কর্ণপাত না করায় সম্প্রতি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই সরকারকে নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ‘এসব বন্ধ করুন..,’ বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট, কি জানালেন প্রধান বিচারপতি?
গতকাল এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই শুনানির সময়ই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর পর্যবেক্ষণ করে, সরকারি কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান ‘অনৈতিক’। এরপরই আগামী ৯ অগস্টের আগে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এই মামলার শুনানিতে বিবাদী পক্ষ হিসেবে ছিলেন রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। প্রসঙ্গত, ইউনিটি ফোরামের তরফ থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টের বিশদ জানতে আরটিআই (RTI) করা হয়েছিল। যদিও তার জবাব মেলেনি। এরপর অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। আদালত ষষ্ঠ বেতন কমিশন সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয়। যদিও সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য। এই ইস্যুতেই ইউনিটি ফোরাম অবমাননার মামলা দায়ের করলে তাতেই কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আগামী ৯ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।