দেশে চার মাসের লকডাউনের থেকেও আমিরশাহীতে ৬ দিনের কোয়ারেন্টিন বেশি কষ্টকর, মহম্মদ সামি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে দীর্ঘদিন লকডাউন চলছে। সেই সময় বাড়ি থেকে বেরোনো বারণ ছিল সাধারণ মানুষের জন্য। আর তাই লকডাউনে সবথেকে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়ে ছিলেন খেলোয়াড়রা। ভারতবর্ষের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই লকডাউন এর সময় কালে নিজের নিজের বাড়িতেই কাটিয়েছেন তবে অন্যান্য ক্রিকেটারদের থেকে এই লকডাউন পর্ব কিছুটা আলাদা কেটেছে ভারতীয় পেসার মহম্মদ সামির। লকডাউনে তিনি নিয়মিত ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কারণ সামির গ্রামের বাড়িতে রয়েছে বড় মাঠ আর নিজের বাড়ির সেই মাঠেই নিয়মিত খেলাধূলা চালিয়ে গিয়েছিলেন মহম্মদ সামি। আর তাই লকডাউনের এই সময়টাই একটুও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি এই তারকা পেসারকে।

এই মুহূর্তে আইপিএল খেলতে ভারতের বেশিরভাগ ক্রিকেটাররা পৌঁছে গিয়েছেন দুবাইতে। দুবাই পৌঁছে যেন সকলে হাফ ছেড়ে বেচেঁছেন। কারণ দীর্ঘদিন লকডাউনে সকলেই গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন। আর তাই বাড়ি থেকে বেরোতে পেরে সকলেই খুশি কিন্তু এমন অবস্থায় কার্যত অন্য সুর শোনা গেল মহম্মদ সামির মুখে। সামি জানালেন দেশে চার মাসের লকডাউনের থেকেও দুবাইয়ের ছ’দিনের কোয়ারেন্টাই তার কাছে বেশি কষ্টকর ছিল।

এই মুহূর্তে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএল খেলার জন্য দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছেন মহম্মদ সামি। বিসিসিআই এর নিয়ম অনুযায়ী দুবাই পৌঁছে প্রথমে ছয় দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল প্রত্যেক ক্রিকেটারকে। সেই নিয়ম অনুযায়ী দুবাই পৌঁছে ছয়দিনের কোয়ারেন্টিনে ছিলেন মহম্মদ সামিও। এই প্রসঙ্গে সামি বলেছেন, দেশে চার মাসের লকডাউনে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগতের সঙ্গে সবাইকেই খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু আমি ভাগ্যবান যে লকডাউন এর মধ্যেও আমি আমার অনুশীলন চালিয়ে যেতে পেরেছি। আমার বাড়ির মধ্যেই ছিল সেই ব্যবস্থা। আর তাই সেই চার মাসের লকডাউন এর থেকেও দুবাইয়ে 6 দিনের কোয়ারেন্টাই আমার কাছে বেশি কষ্টকর মনে হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

X