বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধর্ষকদের শাস্তি একটাই তা হল ফাঁসি। এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতার জোরে কিংবা আইনের ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে যায় অপরাধীরা। ধর্ষণের (Rape) মতো জঘন্য অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। দিনের পর দিন বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে। কিন্তু এবার মাত্র ১১ মাসের মাথায় এক ধর্ষকের চরম সাজা ঘোষণা করে সাড়া ফেলে দিয়েছে আগ্রার পকসো আদালত।
৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের (Rape) শাস্তি ফাঁসি
যা নিঃসন্দেহে পথ দেখাচ্ছে গোটা দেশকে। সাত বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে অভিযুক্ত অপরাধীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করার পাশাপাশি মৃত শিশুকন্যার পরিবারকে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাড়ির সামনেই আপন মনে খেলা করছিল ৭ বছরের শিশু কন্যা। তখনই তাকে লজেন্স খাওয়ানোর টোপ দিয়ে নিকটবর্তী এক ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল গ্রামেরই পাহারাদার রাজবীর।
সেখানেই শিশু কন্যাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ (Rape) করে ওই পাহাড়াদার। শুধু তাই নয় এরপর তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলে রাজবীর। প্রথমবার নির্যাতিতাকে জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল সে, ব্যর্থ হয়ে ভারী পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। জানা যায় সাতটি গভীর ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শিশুকন্যার শিশুটির। এরপর তথ্য লোপাট করতেই দেহটি নিকটবর্তী একটি জমিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল রাজবীর।
তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই পাহারাদার। অন্যদিকে অনেকক্ষণ ধরে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকের চিন্তা বাড়তে থাকে। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু অনেক খুঁজেও মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তারা। এরপর ঘটনার তদন্ত নেমে ওই নির্জন মাঠ থেকেই উদ্ধার করা হয় শিশু কন্যার নিথর মৃতদেহ।
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে বড় ধাক্কা কংগ্রেসে! হাত ছেড়ে BJP-তে যোগ দিলেন সাড়ে চার দশকের পুরনো নেতা
আগ্রার এসিপি সুকন্যা শর্মার নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ ডিএনএ, এলাকার সিসিটিভি-সহ প্রায় এক ডজন তথ্যপ্রমাণ পেশ করে আদালতে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া চুলের সঙ্গে অভিযুক্তের ডিএনএ মিলে যায়। আর তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। এদিন বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সনিকা চৌধুরীর এসলাজে এই মামলার শুনানি হয়।
ঘটনায় প্রায় ১২জন সাক্ষী দিয়েছেন। সবদিক খতিয়ে দেখে এদিন অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতা শিশু কন্যার বাবা। এদিন আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিযুক্ত পাহারাদারের সাথে দেখা করতে আসেনি তার পরিবারের কেউ। এমনকি তিনি জেলে থাকা কালীন তার সাথে কেউ কোনোদিন দেখা করতে আসেনি।