বাংলাহান্ট ডেস্ক : পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর। চুরি করতে এসে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করল এক দুষ্কৃতি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। এহেন অমানুষিক এবং অমানবিক ঘটনায় কার্যতই চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, শনিবার মাঝ রাতে চুরি করতে ওই বাড়িতে ঢোকে এক দুষ্কৃতি। বৃদ্ধা তখন একাই ছিলেন বাড়িতে। তাঁকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে ঘরে থাকা সেলাই মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায় চোর। বৃদ্ধার চিৎকারে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।
শনিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটে ঘটনাটি। নির্যাতিতা জানিয়েছেন সেলাই মেশিন চুরি করতে এসেই তাঁকে ধর্ষণ করে ওই দুষ্কৃতি। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘পাশের ঘরেই বৃদ্ধার ছেলে, বৌমা এবং নাতি থাকত। এদিন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বৃদ্ধার চিৎকার শুনে ছুটে আসে সকলে। এসে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বৃদ্ধা। টালির চাল খুলেই ঢুকেছিল চোর। সেলাই মেশিন চুরি করতে এসেছিল।’
বৃদ্ধাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ভর্তি করা হয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃদ্ধার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পরই রবিবার বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বৃদ্ধার পরিবারের তরফে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি এবং ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এহেন মর্মান্তিক ঘটনায় কার্যতই স্তম্ভিত এলাকাবাসী। নিজের ঘরে থেকেও ধর্ষণের স্বীকার হতে হলে কোথায় দাঁড়িয়ে নারী সুরক্ষা, উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দিল্লিতেও ধর্ষণের স্বীকার হন ৯০ বছরের এক বৃদ্ধা। অভিযোগ ওঠে সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। পরিবারের বাকি সদস্যদের অনুপস্থিতিতেই ঘরে ঢুকে নির্যাতন চালায় ওই সাফাইকর্মী। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।