কবে বাংলায় কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়া হবে? এবার দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন সাংসদ, খুশিতে সরকারি কর্মীরা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারী রাজ্য বিধানসভায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট (State Budget 2024) পেশ করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করে মমতা সরকার। আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করা হয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA (Dearness Allowance)। বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই ডিএ পেয়ে খুশি নন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকাংশ।

বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতার বুকে এখনও চলছে আন্দোলন। তবে মেলেনি কাঙ্খিত ডিএ (DA)। ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে চলছে রাজ্যের ডিএ মামালা। এই আবহেই গত বৃহস্পতিবারই ফের এক দফায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র সরকার।

ফের ৪ শতাংশ ডিএ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। আগে ৪৬% হারে মহার্ঘ ভাতা পেতেন কেন্দ্রের কর্মীরা। বর্তমানে আরও ৪ % ডিএ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। যার ফলে রাজ্যের সাথে কেন্দ্রের ডিএ-র ফারাক এখন ৩৬ শতাংশ। যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে ডিএ আন্দোলকারীরা।

এরই মধ্যে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ডিএ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন। বিজেপি নেতা বলেন, এই সরকারের থেকে মানুষ কোনও মানবিকতা, সুস্থ ব্যবস্থার প্রত্যাশা রাখতে পারে না। একটা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য যে সমন্বয় দেখাবে, সেই আশাও কেউ করে না। এই সরকার শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করা এসব করেই সরকার চালাচ্ছে।

da hike

আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় দফায় সুপারফাস্ট স্পিডে এগোবে’! শিলিগুড়ির সভায় তৃতীয়বার সরকার গঠনের ইঙ্গিত মোদীর

বিজেপি সাংসদ তথা মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলার বর্তমান সরকারের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ২০২৫ সালে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরে (যদিও আগামী ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময়) যাতে এখানকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, পেনশনভোগীরা নিশ্চিন্ত হন, সেই ব্যবস্থা সরকার করবে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর