বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) পর মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পে কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী সেই বৈঠকে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ফের মন্ত্রীসভার বৈঠক আয়োজিত হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী শীঘ্রই বেতন ও ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
অবশেষে DA-বেতন বৃদ্ধিতে শীলমোহর?
এর আগে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) প্রতিনিধি দল। ভোটের পর সরকারি কর্মীদের সংগঠনের নেতারা সোজা অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। মনে করা হচ্ছিল খুব দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে। এবার মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সেই জল্পনা আরও জোড়ালো হচ্ছে।
আগেই সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের আশ্বাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত দাবি পূরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের এই নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের আশ্বাসের পরই আশায় বুক বেঁধেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই নতুন বেতন কমিশনের অধীনে বেতন ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা। সে রাজ্যের ৫ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এব লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী রাজ্য সরকারের দিকে মুখ চেয়ে বসে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও জানা যায়। তারপর থেকেই খুব শীঘ্রই সপ্তম পে কমিশন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৬ মার্চ রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে। সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়ানো হোক বলে সুপারিশ করা হয়েছিল। এদিকে সরকারও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন অন্তত ১৭,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭,০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী মাইনে পান।
উল্লেখ্য, বহুদিন যাবৎ বেতন এবং ডিএ-র (Dearness Allowance) হার সংশোধনের দাবি তুলে আসছেন সেই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। নতুন বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকার প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোটের আগে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে! আজ কখন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
এর আগের বিজেপি সরকারের আমলেই সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের গঠন করা হয়েছিল। তখন বাসবরাজ বোম্মাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ই রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বেতন স্কেল সংশোধন করতে এবং নতুন বেতন কাঠামো ইত্যাদি প্রণয়নের লক্ষ্যে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
বর্তমান সরকার সেই কমিটির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত করেছিল। বলে রাখা ভালো, রাজ্যে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে সরকারি কোষাগারের ওপর ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বোঝা পড়তে পারে।