অবশেষে ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি! এই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষে ডিএ বৃদ্ধির (DA Hike) হিড়িক পড়ে গিয়েছে। দীপাবলির আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বৃদ্ধি পেয়েছে। এতদিন পঞ্চাশ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে এসেছিলেন তারা।এবারে তিন শতাংশ হারে ডিএ বাড়ায় তার পরিমাণ হয়েছে ৫৩%। এদিকে কেন্দ্রের মতো একের পর এক রাজ্যও ডিএ বৃদ্ধির পথে হেঁটেছে। এই আবহেই সম্প্রতি বিহারের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল।

পাশাপাশি জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বকেয়া ডিএ জানুয়ারি মাসে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে গত ১ জুলাই থেকে। জানিয়ে রাখি বিহারও ৩ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছে সরকারি কর্মীদের জন্যে। অর্থাৎ এবারে ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৩ শতাংশ করা হল বিহারের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ।

এদিকে সম্প্রতি মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ডিএ (DA) এবং ডিআর বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা সরকারও। এবারে সে রাজ্যে এক লাফে পাঁচ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতদিন ২৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন ত্রিপুরা সরকারি কর্মীরা। এবারে তা বেড়ে হবে ৩০ শতাংশ। বছর শেষে এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে।

এবার থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ত্রিপুরার সরকারি কর্মীরা ৩০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক কমে দাঁড়াল ২৩ শতাংশে। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছিল। এদিকে শোনা যাচ্ছে জানুয়ারি মাসে ফের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়বে। আবার অষ্টম পে কমিশন নিয়েও জোড়ালো হচ্ছে জল্পনা।

Dearness Allowance DA hike

আরও পড়ুন: আজ ফের ঝেঁপে বৃষ্টি? কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া? আবহাওয়ার খবর

এদিকে কেন্দ্রের দেখানো পথে হেঁটে একের পর এক রাজ্য সরকারও মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করছে। তবে ব্যতিক্রম বাংলার ক্ষেত্রে। বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। তবে সুরাহা হয়নি। বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টে চলছে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর