বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তম বেতন কমিশনের (7th Pay Commission) দাবি তুলে ক্রমাগত আওয়াজ তুলছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। সম্প্রতি সরকারের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখাও করেন সরকারি কর্মীদের প্রতিনিধি দল। এরই মাঝে এবার সুখবর। জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য এবার সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার।
নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হলেও সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার বিষয়ে কিছুই বলা হল না। এই নিয়ে ক্ষোভ জন্মেছিল কর্ণাটকের সরকারি কর্মীদের মনে। এবার মান-অভিমানের পর্ব কাটার পালা। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পে কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী সেই বৈঠকে বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরেই নতুন বেতন কমিশনের অধীনে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা। সে রাজ্যের ৫ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এব লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেতের আশায় বসে রয়েছেন। এরই মধ্যে জানা গেল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। খুব শীঘ্রই সপ্তম পে কমিশন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৬ মার্চ রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে। রিপোর্ট অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছিল, সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়ানো হোক। এদিকে সরকারও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন অন্তত ১৭,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭,০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী মাইনে পান।
ভোট মিটলেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ফের একবার নতুন কমিশনের দাবিতে সরব হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। সেই মতো ভোটের পরই সরকারি কর্মীদের সংগঠনের নেতারা সোজা অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন। তারপর থেকেই খুব দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল।
আরও পড়ুন: NEET, ইউজিসি NET বিতর্কের মাঝেই এবার স্থগিত TET, তোলপাড় রাজ্য
উল্লেখ্য, নতুন বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকার প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোটের আগে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। আগের বিজেপি সরকারের আমলেই সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের গঠন করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার সেই কমিটির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত করেছিল। বলে রাখা ভালো, রাজ্যে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে সরকারি কোষাগারের ওপর ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বোঝা পড়তে পারে।