বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সাল থেকে টানাপোড়েনের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা (DA Arrear Case) ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছে। এবার বকেয়া বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত একটি মামলাতেই বড় রায় দিল আদালত। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বেতন, ডিএ সহ সকল ভাতা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)।
প্রাপ্য না পেলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা (Government Employees), তবে যারা মামলা করবেন তাঁরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন মাইনে (Salary) এবং মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) পাবেন না, এক রাজ্যের সরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এমনটাই বলা হয়েছিল। ‘এটা করা যায় না’, মামলার রায় দেওয়া সময় জানিয়ে দিল বম্বে হাই কোর্ট।
আসলে ২০২৩ সালের জুন মাসে গোয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (Goa Industrial Development Corporation) তরফ থেকে একটি প্রস্তাবনা পাশ হয়েছিল। সেখানে ‘মামলা নিষ্পত্তি’ সম্বন্ধিত একটি শর্তাবলীর উল্লেখ ছিল। যে কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল কর্মচারীদের। এবার বম্বে হাই কোর্টের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট শর্তাবলী সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘মামলা ঝুলে’ থাকার অজুহাতে কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশনের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে যে বঞ্চিত করা যাবে না, তা পরিষ্কার করে দিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ ‘বেড়ে পাকা ছেলে’, ‘এখনও দুধ বেরোয়…’! দেবাংশুকে ধুয়ে দিলেন লকেট
বম্বে হাই কোর্টের নির্দেশ, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে GIDC-র সকল কর্মীর জন্য সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করতে হবে। ফলত গত ৬ বছর ধরে কর্মচারীদের বেতন, মহার্ঘ ভাতা সহ অন্যান্য যে সকল ভাতা আটকে রয়েছে সেগুলি এবার মেটাতে হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া GIDC-র যে সকল কর্মী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির আগে রিটায়ার করেছেন তাঁরাও এবার সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে পেনশন পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, নতুন পেনশন এবং বেতন কাঠামো লাগু করতে আদালতের তরফ থেকে GIDC-কে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, গোয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ‘মামলা নিষ্পত্তি’ সংক্রান্ত শর্তাবলী নিয়ে এত বিতর্ক কেন? আসলে কর্মচারীদের অভিযোগ, যদি কারোর কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে সে আদালতের দ্বারস্থ হতেই পারে, এটা মৌলিক অধিকার।
তবে GIDC-র শর্তাবলীর ফলে অনেকেই মামলা করতে ভয় পাচ্ছিলেন! অনেকে আবার পেনশন আটকে যাওয়ার ভয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছিলেন বলে খবর। এই প্রসঙ্গে বম্বে হাই কোর্টে বলে, ‘উক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের এই শর্তাবলী কার্যত বলছে কর্মচারীরা মামলা প্রত্যাহার না করলে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে’। এমনটা করা যায় না বলে মত প্রকাশ করে আদালত।