বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরে (Palghar) এক নাবালিকার উপর চালানো হল নারকীয় অত্যাচার। প্রকাশ্যে টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে ৮ ব্যক্তি মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ। ধৃত অভিুক্তদের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ (POCSO) আইনে মামলা দায়ের করল পুলিস। রবিবার এই ঘটনায় আট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ৩৭৬ (ডি) গণধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিস। অমানুষিক এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠছে দেশ জুড়ে। শুক্রবার রাতে গ্রামেই সৈকতের পাশে একটি ফাঁকা, বাংলোয় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অভিযোগ সেখানেই শুরু হয় অত্যাচার। পরের দিন সকাল পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয় নাবালিকা।
পালঘর জেলার ওই কিশোরীর অভিযোগ সামনে আসতে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। পালঘর পুলিস সূত্রে খবর, এক অভিযুক্ত বছর ষোলর ওই কিশোরীকে প্রলোভিত করে। নানা অছিলায় একটি পরিত্যক্ত বাংলোয় নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করা হয়। অভিযোগকারী নাবালিকা পুলিসকে জানায়, শুক্রবার রাতে, সমুদ্র সৈকতের ধারে ফাঁকা বাংলোয় ওই তাঁকে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। সেখানেই শুরু হয় অত্যাচার। বাংলোর পরে সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। সেখানেও চলে নির্মম অত্যাচার। ওই নাবালিকা পুলিসকে জানায় রাত থেকে সকাল হওয়া পর্যন্ত প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে তাঁর উপর অত্যাচার চলে।
শনিবার পুলিসে অভিযোগ জানায় ওই নাবালিকা। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযোগকারী জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর রাত আটটা নাগদ তার উপরে অত্যাচার শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ পর্যন্ত নির্যাতন চলে। প্রথমে পরিত্যক্ত বাংলো, তার পরে সমুদ্র সৈকত- লাগাতার অত্যাচার করা হয় তার উপর। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে আট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির গণধর্ষণ সহ পাঁচ ধারায় এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।