বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাস খানেক আগে বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে কুচ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে গিয়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন তিনি। আর এবার আজ উনি আবারও রাজভবনে যাচ্ছেন। ওনার সঙ্গে বিজেপির কয়েকজন বিধায়কও আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাবেন শুভেন্দুরা। তবে রাজভবনে যাওয়ার আগে বিধানসভার আটটি কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বিজেপির বিধায়করা। মকুল রায়কে পিএসি চেয়াম্যান ঘোষণার দিনেই এই কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ বিকেল ৪টে নাগাদ কয়েকজন বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যাবেন শুভেন্দুবাবু।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির বিধায়কদের বৈঠকের পর বিধানসভার বাকি ৮টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বিজেপির বিধায়করা। অনৈতিক ভাবে মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদেই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুব শীঘ্রই ওনারা ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য, বিজেপি যাদের নামের প্রস্তাব দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কাউকেই যে পিএসি চেয়ারম্যান করা হবে না সেটা আগেই টের পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। আর বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে বিজেপির সেই আশঙ্কা সত্যি হয়। বিজেপির কোনও বিধায়ককে পিএসি চেয়ারম্যান না করে দলত্যাগী মুকুল রায়কে সেই পদে বসান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদে বিজেপির বিধায়করা সেদিন বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে। এরপর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অন্য রণনীতি নিয়ে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা তৈরি হয়।