বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমপক্ষে ৮ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরেকদিকে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অজস্র মাওবাদী সংগঠন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অনেকদিন আগেই বিভিন্ন সর্বভারতীয় মিডিয়াতে দেখানো হয়েছিল যে, মাওবাদীরা ধীরে ধীরে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে। আর সেই সংক্রমণের কারণে তাঁদের রাতের ঘুম পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেক মাওবাদী সংক্রমিত হয়েছে আর অনেক টপ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, ছত্তিসগড় আর তেলেঙ্গানা রাজ্যের অনেক অঞ্চলই মাওবাদীদের গড় বলে পরিচিত। ঘন জঙ্গলে জঙ্গি গতিবিধি চালানো মাওবাদীরা প্রায়শই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আর চিকনগুনিয়ার কবলে পড়ে প্রাণ হারায়। স্পেশ্যাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ আর অ্যান্টি নকশাল ইন্টেলিজেন্স উইং অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে মাওবাদীদের অনেক শীর্ষ নেতা আর ক্যাডার ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। পুলিশ সুপার সুনীল দত্ত বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমপক্ষে ৮ মাওবাদী নেতা আর তাঁদের ক্যাডারের মৃত্যু হয়েছে।”
পাশাপাশি পুলিশ এও জানায় যে, আরও অজস্র মাওবাদী এখন সংক্রমণে ভুগছে। আর বাকিরা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ক্যাডার ছেড়ে পালিয়েছে। অ্যান্টি নকশালাইট ইন্টেলিজেন্সের এক আধিকারিক জানান, ‘সশস্ত্র সংগঠনের বার্তাবাহকরা জঙ্গলে মাওবাদীদের সাথে দেখা করেছিল। মনে হচ্ছে এই কারণেই গভীর জঙ্গলে থাকা মাওবাদীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।”
চিকিত্সা ব্যবস্থায় অভাব, খাবারের অভাব এবং সর্পদংশনের কারণে মাওবাদীরা গভীর জঙ্গলে চরম সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এর কারণেও মাওবাদীরা করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। দিন কয়েক আগে, শীর্ষ নকশাল কম্যান্ডার তথা তেলেঙ্গানা রাজ্য সমিতির সচিব ইয়াপা নারায়ণ ওরফে হরিভূষণ এবং ভরতক্কা করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়। ২১ জুন হরিভূষণ প্রাণ হারিয়েছিল, আর তাঁর পরের দিন ভরতক্কার মৃত্যু হয়।