বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২২-এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election 2022) নিয়ে বেস একটা নরমে-গরমে আবহাওয়া গেল দেশ জুড়েই। জানা যাচ্ছে, বিজেপির সাংসদ সানি দেওয়াল (BJP MP Sunny Deol) সহ মোট আট সাংসদ ভোট দেননি। তাঁদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে ভরতি আছেন। একজন রয়েছেন জেলে। তার মধ্যেই আবার পিপিই কিট পরে ভোট দেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হুইলচেয়ারে বসে ভোট দিতে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh), মুলায়ম সিং যাদবও (Mulayam Singh Yadav)।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন না বিজেপির সানি দেওল-সহ মোট আট জন সাংসদ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় পিপিই কিট পরে ভোট দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শক্তিমন্ত্রী আরকে সিং। সংসদ সূত্রে খবর, যে আট সাংসদ ভোট দেননি, তাঁদের মধ্যে দু’জন বিজেপি এবং একজন করে কংগ্রেস, সমাজবাদী, বিএসপি, শিবসেনা, এআইএমআইএম ও ডিএমকের নেতা আছে।
এই মুহুর্তে চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন বিজেপির সাংসদ সানি দেওয়াল। বিজেপির অপর সাংসদ সঞ্জয় ধোতরে ভর্তি রয়েছেন আইসিইউতে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শিবসেনার সাংসদ গজানন কীর্তিকারও। জেলে থাকা এক বিএসপিএ সাংসদও ভোট দেননি। এছাড়া ভোট দেননি এআইএমআইএমের ইমতিয়াজ জালিল, কংগ্রেসের মহম্মদ সাদিক, সমাজবাদী পার্টির শফিকুর রহমান বার্ক এবং ডিএমকে টিআর পরিবেন্ধর।
আট সাংসদ ভোট দানে বিরত থাকলেও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আটকাতে পারেনি করোনাও। সোমবার পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট বা পিপিই কিট পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং শক্তিমন্ত্রী ভোট দিতে আসেন। অন্যদিকে, হুইলচেয়ারে বসে ভোট দিতে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং এবং মুলায়ম সিং যাদবও। ওড়িশা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা প্রদীপ্তকুমার নায়েক অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে আসেন। এবার শুধু অপেক্ষা। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যাবে কে হতে চলেছেন রাইসিনা হিলস-র পরবর্তী বাসিন্দা?