গোশালাকে অবহেলা সরকারের, খিদের জ্বালায় হরিয়ানায় মারা গেল ৮০ টি গাই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হরিয়ানা রাজ্যে গরু, গীতা ইত্যাদি নিয়ে রাজনীতি হওয়া নতুন কথা নয়, তবে হরিয়ানা (Haryana) উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে গরুর বা গোবংশবৃদ্ধিবৃদ্ধি নিয়েও সরকার বা প্রশাসন সচেতন থাকে কিন্তু তবে এখন হরিয়ানা থেকে এমন একটি  দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে যা প্রশাসনের ওপর প্রশ্ন তুলেছে। সমলখা চুলকানা রোডের শ্রী কৃষ্ণ গোশালা লকডাউনের সময় ৮০ টি গরু ক্ষুধার্ত হওয়ার কারণে মারা গেছে। আর রাস্তার কুকুরগুলো মৃত গরুগুলোকে  খুবলে খাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, গোশালার সর্বত্র ময়লার স্তূপ রয়েছে। গোশালা পরিষ্কার করা হয় না। পাশাপাশি কোনও স্যানিটেশন করা হয়না। গো-শেডে গরুর বংশ আরও বেশি।যেখানে  অনেক সংখ্যক গ্রু আছে। আবার অনেক গোবংশবৃদ্ধি করেছে। তাঁদের থাকার জন্য গোশালা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। তারা নোংরা থাকছে। তাছাড়া তাদের সেভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে না। সরকার, প্রশাসনের কাছে বহুবার সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও কিন্তু সেখান থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

lockdown 2222

গোশালের ব্যবস্থাপক এ কথা জানিয়েছেন যে, সমলখা চুলকানা রোডে অবস্থিত শ্রী কৃষ্ণ গোশালায় সাড়ে তিন একর জমিতে নির্মিত। লকডাউনের কারণে গোশালায় গরু সংখ্যা বেশি থাকায় প্রায় ৮০ টি গরু অনাহারে মারা গেছে। গোশালার মনজির কুলদীপ জানান, গৌশালায় ১৮৫০ টি গরু রয়েছে। কিন্তু গ্রু রাখার ও তাদের খেতে দেওয়ার সংখ্যা ১১০০ টি। কিন্তু সেখানে গ্রু হয়েছে ১৮৫০ টি। তারা বেশী সংখ্যক গ্রু থাকার কারণে তারা তাদের খেতে দিতে পারছে না। ফলে গ্রুগুলো অনাহারে মারা যাচ্ছে।

j 16

কুলদীপ জানিয়েছিলেন যে, তিনি যখন গরুকে খাওয়ান, তখন সমস্ত গরু একসাথে  খায়।  এত গ্রুর ভিড় থাকার কারণে দুর্বল গ্রুগুলিকে সেভাবে খাওয়ানো হয়না। সরকার প্রশাসনের কাছে বারবার সাহায্য চাওয়া হলেও তারা কোন রকম সাড়া দেয়নি আবার যারা পশুপ্রেমী বলে নিজেদেরকে মনে করেন তারাও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। এতগুলি গরুকে রাখার জন্য যে খাদ্যদ্রব্যের প্রয়োজন বা গরু মারা যাওয়ার পর অর্থাৎ শেষ কাজ করবার জন্য যে জমির প্রয়োজন সেই জমিও সরকার থেকে দিচ্ছে না। আবার গাই গ্রুর নাম করে ভোট নেওয়া হচ্ছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গাই গরুর দেখাও  ঠিকঠাক মত হচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ উঠল সরকারও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

সম্পর্কিত খবর