বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থানে পৌঁছাবার আগেই উত্তপ্ত মরুশহর। রাজ্যের সৈনিক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা (Rajendra Gudha) রীতিমতো হুমকি দিয়ে মুখমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে (Ashok Gehlot) বলেন অন্তত ৮০ শতাংশ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সচিন পাইলটের (Sachin Pilot) সঙ্গে। তাই তাঁর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার আগে কয়েক বার ভেবে বলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
অশোক গেহলটের বিবাদ আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে সচিন পাইলটের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি দাবি করেছেন সচিন পাইলট আসলে পার্টির সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা বিলি করেছিলেন। অশোক গেহলটের সঙ্গে সচিন পাইলটের এই বিরোধ নতুন করে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
এদিন রাজেন্দ্র গুধা কাঠগড়ায় তোলেন একাধিক কংগ্রেস বিধায়ককে। সদ্য প্রয়াত বিধায়ক বানওয়ার লাল শর্মাকেও ছেড়ে কথা বলেননি রাজেন্দ্র। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল বানওয়ার লাল শর্মার দেখাশুনা করা। তাহলে আর সর্দার সিটি আসনে উপনির্বাচন করতে হত না। অপর এক প্রয়াত বিধায়ক গজেন্দ্র শেখাওয়াতকেও তুলোধোনা করেন রাজেন্দ্র গুধা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, ‘একজন বিশ্বাসঘাতক কখনও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন না। একজন ব্যক্তি, যাঁর কাছে ১০ জন বিধায়ক পর্যন্ত নেই, যে বিদ্রোহ করেছে, যে নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এমন ব্যক্তিকে হাইকমান্ড মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে না। সে এক বিশ্বাসঘাতক।’
রাজস্থান কংগ্রেসে বেশ কিছুদিন ধরেই অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে। গেহলট এবং পাইলটের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে। যার জেরে দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল নেতাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি’ দিতে বারণ করেছেন। সেই নির্দেশ নামমাত্রেই পালন করা হচ্ছে। উভয় গোষ্ঠীর সমর্থকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘চরিত্রহীন’, ‘রেজিস্টার্ড দালাল’-এর মত নানা বাছা বাছা শব্দ প্রয়োগ করে চলেছেন।