অনুসরণ দিল্লিকে! এবার সম্পূর্ণ ইংরেজি মিডিয়ামে রূপান্তরিত হচ্ছে কলকাতা পুরসভার ৮০ টি স্কুল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এবার পুর স্কুলের পরিকাঠামো ও পঠন-পাঠন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তনের প্রস্তুতি শুরু হল কলকাতায়। মূলত, নিম্নবিত্ত ও বসতির শিশুদের আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির অধীনে নিয়ে আসতেই দিল্লিতে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া “দিল্লি মডেল” চালু করার পথে হাঁটছে কলকাতা পুরসভা।

এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হল, প্রাথমিকস্তর থেকেই শহরের নিম্নবিত্ত ঘরের পড়ুয়াদেরও সর্বভারতীয় মানের পঠন-পাঠনের আওতায় নিয়ে আসা। এর ফলে যে সমস্ত পুর স্কুল ইংলিশ মিডিয়ামে রূপান্তরিত হবে সেখানেই প্রাথমিক স্তরে নয়া শিক্ষা কাঠামো ও রীতিনীতি চালু করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নয়া শিক্ষাপদ্ধতি প্রয়োগ করে কমবয়সি পড়ুয়াদের মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে অভাবনীয় সুফল এবং সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার।

সেই রেশ বজায় রেখেই এবার কলকাতায় ২৪১ টি পুর স্কুলের মধ্যে বর্তমানে ৭১ টিতে ইংলিশ মিডিয়ামে পঠনপাঠন চলছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও ৮০ টি স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমের অধীনে নিয়ে আসতে চান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্কুলে ইংলিশ মিডিয়াম চালুর সঙ্গে সঙ্গে স্মার্ট ক্লাসরুম, ডিজিটাল ল্যাব, প্লে-জোন থেকে শুরু করে “ইংলিশ কমিউনিকেশন স্কিল” চালু করার প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে পুরসভার শিক্ষাবিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন যে, “দিল্লির সরকারি প্রাথমিক স্কুলের নয়া পঠনপাঠন পদ্ধতি ও শিক্ষণ পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে রাজধানীর ওই পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

যদিও, আগামী পাঁচ বছরে ঠিক কোন ৮০ টি স্কুল ইংলিশ মিডিয়ামে বদলে যেতে চলেছে তা নিয়ে শহর জুড়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। কারণ, বাসিন্দাদের ওপর নির্ভর করেই তৈরি হবে সমগ্র পরিকল্পনাটি। এই প্রসঙ্গে শিক্ষার মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, “ইংলিশ মিডিয়াম পুর স্কুলে পড়াতে পারবেন এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রস্তুত করে তবেই বিদ্যালয়ের মাধ্যম পরিবর্তন হবে।”

1 9 1

জানা গিয়েছে যে, নিম্নবিত্ত ও বসতিবাসী কমবয়সিদের জন্য ইতিমধ্যে দেশের অন্যতম সেরা পঠন-পাঠন পদ্ধতি হিসাবে চিহ্নিত দিল্লির সরকারের প্রাথমিক স্কুলগুলি পরিদর্শনে যাবেন শিক্ষাবিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা। আগামী ১৮ এপ্রিল দিল্লি পৌঁছবেন তিনি। সেখানে তিনি ওই রাজ্যের শিক্ষাকর্তা এবং প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর