CBI-র র‍্যাডারে বঙ্গের ৮৬ প্রভাবশালী, শুধু কলকাতারই ১৬ জন! দাবি সূত্রে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তাল হতে চলেছে বাংলা। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ইডির দিল্লি যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরই মধ্যে দুর্নীতি নিয়ে এবার আরও বড় অভিযানে নামছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, এবার গোয়েন্দাদের নজরে ৮৬ জন প্রতিনিধি। এদের মধ্যে রয়েছেন কাউন্সিলর থেকে মন্ত্রী কিংবা জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত স্তরের সদস্য। এরমধ্যে ১৩ জন কাউন্সিলর কলকাতা পুরনিগমের বলেও জানা যাচ্ছে।

বিশেষ সূত্রের দাবি, রাজ্যের একজন মন্ত্রীও নাকি রয়েছেন সিবিআইয়ের র‍্যাডারে। এই কাউন্সিলরদের সম্পত্তির তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসে পৌঁছেছে। ১০ মার্চ দিল্লিতে বৈঠকে বসছে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এটি মূলত রিভিউ বৈঠক। সেখানে এই কাউন্সিলরদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এই নয়া তদন্তে ঝাঁপানোর আগে কোনও রকম কোনও ভুল করতে চাইছে না সিবিআই।

নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্ত শুরু করে প্রথম থেকেই ইডি, সিবিআই দাবি করে, এর জাল গোটা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। একের পর এক মিডলম্যানরা গ্রেফতার হয়েছে। এরপরও বাইরে রয়ে গেছে একাধিক নাম। সেই তালিকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রভাবশালীরাও রয়েছেন। তাঁরা সকলে নেতা-মন্ত্রী এমন নন, তবে স্থানীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাবশালী। সূত্রের দাবি, এরকম একাধিক নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, একটা অংশ ‘কাউন্সিলর’ বা ‘কর্পোরেটর’।

ssc 1

পুরএলাকার প্রভাবশালীই নন, নজরে জেলা পরিষদ বা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের নেতৃত্বও রয়েছে এই তালিকায়। তাঁরা স্থানীয় এলাকায় রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট প্রভাবশালী। তাঁদের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সিবিআইয়ের বক্তব্য। কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্নীতি? সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ থেকে গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি, স্থানীয় পর্যায়ে এই ‘প্রভাবশালী’দের ভূমিকা যথেষ্ট রয়েছে
তাৎপর্যপূর্ণ।

জানা যাচ্ছে, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন আদালতের নির্দেশে বা চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়ায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তাঁদের কাছ থেকেই এই নামগুলি উঠে আসে। এরপরই তালিকা ধরে ধরে খোঁজখবর শুরু করে সিবিআই।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর