বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান। বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান” বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ভারত বর্ষ যুগ যুগ ধরে। বৈদেশিক জাতি এদেশের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। রাজদণ্ড হাতে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। কিন্তু এই ভারত বর্ষ বর্তমানে আতংবাদি দের কাছে যেন এক বিশাল পাওনার জায়গা। মাঝেমধ্যেই তাদের আক্রমণ মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
কিন্তু এই আতংবাদি হামলায় ভারতে যত না ক্ষতিগ্রস্ত তার চেয়ে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম দেশের মানুষ রা। সাম্প্রদায়িকতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ রুখতে হলে প্রথমে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে জেদ ক্রোধ অর্জন করে বন্ধুসুলভ আলাপ আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই আজ আতংবাদি হামলায় নিহত।এ নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এলো সংবাদমাধ্যমে।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের শিকার ৯১.২ ভাগ নিরাপদরাধ মুসলিম। ব্রাসেলসের ‘পলিটিক্যাল ক্রিয়েটিভ ফাউন্ডেশন’-এর এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ জানা গেছে। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-আরাবিয়া এ রিপোর্ট প্রকাশ করে।
সারাবিশ্বে যত সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটে চলেছে তার ৯০ ভাগেরও বেশি ক্ষতির শিকার হন শুধু মুসলিমরা।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত ফরাসি রিপোর্টে দাবি করা হয়, এ সব হামলাগুলোর মধ্যে ৮৯.১ ভাগ সন্ত্রাসবাদের ঘটনা মুসলিম দেশসমূহেই ঘটানো হয়। আর এতে ক্ষতিগ্রস্তও হয় মুসলিমরা। আতংবাদি ঘটনা কোন মতেই কাম্য নয়। সে যে দেশেরই মানুষ হোক। মানুষ তো। জীবন সবার আগে। কিন্তু আত্মস্বার্থ চরিতার্থ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিতে হয়তো সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজাল ভেঙে ধরনের সমস্যা আরো গভীরে প্রবেশ করে।