বাংলাহান্ট ডেস্ক : এতদিন ধিকিধিকি জ্বললেও এবার যেন ঘৃতাহুতি হল বিজেপির হোয়াটস্যাপ বিদ্রোহের আগুনে। রাজ্য নেতৃত্বকে এড়িয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের ৯ বিজেপি বিধায়ক।
বেশকিছু ধরেই বিজেপির অন্দরে চরমে উঠেছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। দলের সাংগঠনিক কাঠামোয় পরিবর্তন করা নিয়ে অসন্তোষের সূত্রপাত হলেও এবার যেন আরও একধাপ বেড়ে গেল তা। এই রদবদলের জেরে আগেই বিজেপির সাংগঠনিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন ৪ বিজেপি বিধায়ক। এবার সোজা দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে বসলেন গ্রুপত্যাগী ওই ৪ বিধায়ক সহ আরও ৫ বিধায়ক। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এই ডিজিট্যাল বিদ্রোহীদের কেউই অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ইন্দাসের বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া বুধবার নিজের নিজের মতন করে চিঠি লিখেছেন দিল্লিতে। চিঠি পাঠানো হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ সহ আরও বেশ কিছু নেতাদের।
গতবছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতি বদল করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন সুনীল রুদ্র মন্ডল। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের জেলা সভাপতির আসন দেওয়া হয়েছে বিল্বেশ্বর সিংহকে। এই রদবদলের পরই অসন্তুষ্ট হয়ে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হেঁকে বসেন চার বিধায়ক। বিজেপির সাংগঠনিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন তাঁরা। এবার শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি পাঠালেন এই ৪ বিধায়ক সহ পুরুলিয়ার আরও ৫ বিধায়ক। পুরুলিয়ার বিধায়করা সরাসরি জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছেন বলেই খবর।
এই পত্রপ্রেরণ সম্পর্কে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা জানিয়েছেন, ‘ একজন রাজ্য সভাপতির ধারে এবং ভারে ভারী হওয়া উচিত। নাহলে তাঁর পক্ষে সংগঠন ধরে রাখা সম্ভব নয়। সভাপতি যদি ভাবেন, অন্যের ইশারায় চলবেন তা হলে দল চলবে না। আমরা চাই শাসকদলের চমকানি, ধমকানি প্রতিহত করার মতো শক্তিশালী জেলা সভাপতি হোক সংগঠনে। এই অবস্থায় আমাদের জেলায় দলের বহু পুরনো কর্মী বসে গিয়েছেন। তাঁরা যাতে দলে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে জন্য আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছি।’ এই চিঠিতে যে কোনো পদাধিকারীকে পছন্দ না হওয়ার কথা থাকতেই পারে এমনটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে এবিষয়ে অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।