বাংলাহান্ট ডেস্ক : তাঁর ওজন বরাবরই বেশি। চিকিৎসকরা মাঝেমধ্যেই বিধান দিতেন ওজন কমানোর জন্য। অকপটে এই কথা বলতেনও তিনি। রোজ ট্রেডমিলে হাঁটি, খাওয়াদাওয়াও কন্ট্রোলে, কিন্তু ওজন কমতো না কিছুতেই। অবশেষে জেল হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) শাপে বর হলো বলা যায়।ওজন (Weight) কমল অবশেষে। এবং পরিমাণ বেশ অনেকটাই।
গত ১০ অগস্ট অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর ২৫ অগস্ট কেষ্টকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেদিন অনুব্রতর ওজন ছিল ১১০ কেজি।
আজ ২৫ অক্টোবর অনুব্রতকে আবারও শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, ওয়েট মেশিনে দাঁড়ানোর পর দেখা যায়, কেষ্টর ওজন হয়েছে ১০১ কেজি। অর্থাৎ পুরো দু’মাসে পুরো ৯ কেজি ওজন কমেছে তাঁর।
ওদিকে, গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম ১২ দিনে তিন কেজি ওজন কমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ১১ থেকে ১২ দিনের মাথায় প্রাক্তন শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রীর ওজন হয় ১০৮ কেজি। পার্থর মতোই ভারী চেহারা গরু পাচার মামলায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁরও ওজন কমল বেশ খানিকটা।
এমনিতে অনুব্রতর ফিসচুলা, শ্বাস্কষ্ট-সহ একাধিক রোগের উপসর্গ রয়েছে। তার জন্য নিয়মিত তাঁকে ওষুধও খেতে হয়। অনুব্রতর অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চাও শুরু হয় একসময়। এর আগে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন, তারপর বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডেকে চাপ দিয়ে বেড রেস্ট লিখিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে বীরভূমের তৃণমূল জেলাসভাপতির বিরুদ্ধে। তবে এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সিবিআই আধিকারিকরা একদম তুলে নিয়ে আসেন অনুব্রতকে।