Bangla Hunt Desk: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi), বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চীন (China) ভারতের (India) মধ্যেকার সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নানারকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে চীনকে কাবু করতে মোদী জি নানা রকম পন্থাও অবলম্বন করেছেন। কখনও বাদ দিয়েছেন চীন অ্যাপ, তো আবার বর্জন করতে বলছেন চীনা পণ্যও।
মুড অফ দ্য নেশন
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে দেশের সিংহ ভাগ মানুষ পাশে দাঁড়ালেও, অনেক সময় অনেকে তাঁর বিরোধিতাও করেছে। সম্প্রতি ‘মুড অফ দ্য নেশন’ এমন একটি সমীক্ষা করেছে, যার মারফত জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কোন সিদ্ধান্তের সাথে দেশের কত শতাংশ মানুষ তাঁর পাশে রয়েছেন।
লাদাখ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত
প্রথমেই আসি, ভারতের সাথে চীনের সংঘর্ষের কেন্দ্র বিন্দু হল লাদাখ সীমান্ত অঞ্চল। চীনের সঙ্গে বিরোধের পর প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ।
সেনাবাহিনীর উপর ভরসা রেখেছেন ৭২ শতাংশ মানুষ
ভারতের উপর করা আকস্মিক আঘাত এবং বর্তমানে ভারতের সাথে সীমান্ত বিবাদে লিপ্ত হওয়া চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্মতি দিয়েছেন প্রায় ৫৯ শতাংশ মানুষ। তবে চীনের সাথে যুদ্ধ হোক বা না হোক ভারতের সেনাবাহিনীর উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে দেশের ৭২ শতাংশ মানুষের। তবে দেশের প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ চীনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে একদমই মনে করেন না।
চীনা পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্ত
চীনের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ভারতের সঙ্গে বিরোধের জেরে সর্বপ্রথম চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল ভারতীয় নাগরিক। মোদী জি চেয়েছেন আত্মনির্ভর ভারত গড়তে। সে কারণে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। তবে মোদী জির এই কর্মকান্ডের পেছনে অনেকে বিরোধিতা করলেও, দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ তাঁকে সম্পূর্ণ রূপে সমর্থন করেছে।
দেশের সিংহভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে
সীমান্ত এলাকায় চীনের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন ভারতীয় সেনাদের উপর আকস্মিক হামলা চালায় চাইনিজ সেনা। প্রাণ হারান ভারতের বীর সেনারা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে ৫৯ টি এবং পরবর্তী ধাপে আরও বেশ কয়েকটি চীনা অ্যাপ ভারত থেকে সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। তবে এই সিদ্ধান্তের অনেকে বিরোধিতা করলেও, দেশের সিংহ ভাগ মানুষ অর্থাৎ ৯১ শতাংশ মানুষ এই বিষয়ে মোদী জিকে সমর্থনই করেছে।