বাংলা হান্ট ডেস্ক: ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন দুটো ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দুটির হেড অফিস কলকাতায় রয়েছে। মোদীর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের আপত্তি জানিয়ে আজই তাঁকে চিঠি লিখলেন মমতা।
ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের হেড অফিস রয়েছে কলকাতায়। এই দুটি ব্যাংকেরই সংযুক্তিকরণ ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এলাহাবাদের ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে সংযুক্ত করা হচ্ছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্য সরকারের সাথে কোনরকম আলোচনা না করেই এই দুটো ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এমন কাজ অনৈতিক। যে ব্যাঙ্কগুলির রাজ্যে হেড অফিস তাদের ব্যাপারে কোনো রকম বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক বলে জানিয়েছেন মমতা। শুধু তাই নয় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও কোনরকম আলোচনা করেনি কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এমনটা করা যায় না বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন কেন্দ্রের এমন হঠকারিতায় বাধ্যতামূলকভাবে প্রচুর মানুষকে স্বেচ্ছা অবসর নিতে হতে পারে। শুধু তাই নয় এমনকি ব্যাঙ্কগুলোর ব্রাঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে মমতা আরও বক্তব্য রেখেছেন, এই দুই ব্যাঙ্কের শাখা কমে গেলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রভৃতি ক্ষেত্রে। বাংলার মানুষ ওই দুটি ব্যাঙ্কের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল।
এদিকে আরবিআই-এর আইন অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরকার নেই। এটি আরবিআই ও অর্থমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত। এবার দেখার বিষয় আগামী দিনে এই ঘটনার জল কোনদিকে গড়ায়।