বাংলা হান্ট ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ বাধাতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান। শুক্ৰবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অকপটে বলেছেন, এই ইস্যুতে যতদূর সম্ভব ততদূর যাবে পাকিস্তান। শুধু তাই নয় এর ফলে যে ‘ভয়াবহ’ পরিণাম হবে তার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করলেন ইমরান। তাহলে কি পাক-প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের হুমকি?।
সম্প্রতি জম্মু কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। এই অনুচ্ছেদ রদের পর আন্তর্জাতিকস্তরে অভিযোগ করেও সাফল্য পায়নি পাকিস্তান। বিদেশ তো দূরের কথা নিজের দেশেও কোণঠাসা ইমরান খান। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দল মুত্তাহিদা কওয়ামি মুভমেন্টের প্রধান আলতাফ হুসেন বলেন, কাশ্মীর ইস্যু ভারতের একেবারেই অভ্যন্তরীণ মামলা। পাক সেনার সেদেশে কাশ্মীর নিয়ে কোনো বিভ্রান্তিমূলক কাজকর্ম বা মন্তব্য একেবারেই আবশ্যিক নয়।
এক বিবৃতিতে ইমরান বলেছেন, ‘পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতার উপরে কোনও আঘাত এলেও পাকিস্তান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। শত্রুকে সর্বশক্তি দিয়ে পালটা জবাব দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। আর এর ভয়াবহ ফলাফলের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় দায়ী থাকবে।’ পাকিস্তান রেডিয়ো’র ওয়েবসাইটে পাক প্রাধানমন্ত্রী এই বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি জানা গেছে কাশ্মীরে বড়সড় হামলা ঘটানোর জন্য কষা হচ্ছে ছক। শুধু তাই নয় এই সমস্ত জঙ্গিদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কই তইবার ঘাঁটিতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সদ্য আটক হওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দেশের সেনাদের সাহায্যেই তারা ভারতে অনুপ্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সমস্ত পাক জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অশান্তি পাকাতেই অনুপ্রবেশ করছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের অগ্নিদগ্ধ অবস্থা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সবই আবার আগের মতন সাধারণ অবস্থায় ফিরছে। এমনকি সরকারি কাজকর্মও চলছে স্বাভাবিক ভাবে।
তবে এ শান্তি যেন সহ্য হচ্ছে না পাকিস্তানের, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়ানো কাজকর্মের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি জানিয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘেরাটোপে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয়া দিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান উস্কানিমূলক মন্তব্য দ্বারা ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।