নিজস্ব প্রতিনিধি,নানুর,বীরভূমঃ বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃনমূল সংঘর্ষে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম। অভিযোগ,বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করে তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা। এমনকি তাদের ঘরও ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল যে,গতকাল ওই গ্রামে বিজেপির নেতা-কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাতে যায়। সেই পতাকা লাগানো নিয়ে প্রথমে তৃনমূলের সাথে বিজেপির বচসা বাধে। তারপরেই শুরু হয় বোমাবাজি। অভিযোগ,বিজেপির কর্মী স্বরূপ গড়াইকে লক্ষ্য করে গুলি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি তাকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বর্ধমান মেডিকেল কলজে ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনা ঘটার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নানুর থানার পুলিশ। এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওখানকার বাসিন্দাদের এখনও পর্যন্ত চোখে,মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এলাকাটিতে যাতে আর কোনো অশান্তি না হয় সেইজন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় তৃনমূলের ৭ জন ও বিজেপির ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত আজ সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা।তিনি বলেন,‘এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকার এবং পুলিশ দায়ী।’
ছবিঃ ঘটনাস্থলে অনুপম হাজরা।
তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন,“পুলিশের চোখের সামনেই এই গোটা ঘটনাটা ঘটেছে। আমাদের কর্মীদের উপর গুলি এবং বোমা মারার পাশাপাশি অজস্র বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষদের বাধ্য করছে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে। তৃনমূল ক্ষমতা হারাবার ভয়েই এই কাজগুলি করছে। এখানে পুলিশ সক্রিয়ভাবে মদত দিয়ে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর মাধ্যমে এমন কাজ করাচ্ছে। আর এরপরেও যদি তৃণমূল না বদলায় তাহলে ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে চিদম্বরমের মত অবস্থা হবে।”
এই ঘটনায় আরোও এক বিজেপি কর্মকর্তা তাপস স্যানাল তিনিও নিখোঁজ বলে জানা গেছে।