হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে একটা বিশ্বাস বেঁচে রয়েছে আর তা হলো মানত পূরণের জন্য পশুবলি৷ দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে বারোয়ারি পূজা কালীপূজা জগদ্ধাত্রী পূজা কিংবা অন্যান্য পূজা পার্বনের সময় ধর্মের নামে পশু বলি দেওয়া মানুষের একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ শুধু মানুষ পূরণ করতেই নয় বহু জায়গায় প্রথা মেনেই এই পশু বলির প্রচলন রয়েছে আজও৷ প্রাচীন প্রথার দোহা দিয়ে নয় এবং ধর্মের নামে পশু বলি বন্ধ করার জন্য মোদি ও মমতাকে চিঠি দিলেও বর্ধমানের পশুপ্রেমীরা৷ শুধু মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়াই নয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছে একই আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ম যার যার উত্সব সবার এই ট্যাগ লাইনকে সামনে রেখে এবং জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর এই বাণীকে সামনে রেখে পশুবলি বন্ধ করার জন্য তত্পর হয়েছেন পশুপ্রেমীরা৷ তাই তো বর্ধমানের একটি পশুপ্রেমী সংগঠন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধর্মের নামে পশু বলি দেওয়া বন্ধ করার জন্য চিঠি চিঠিতে তাঁরা সবার ঊর্ধ্বে মানবতাবাদকে স্থান দিয়ে পশুবলি প্রথা বন্ধ করা হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পশুবলি প্রথা বন্ধের যে নির্দেশিকা সে বিষয়েও অবগত করেছেন ওই সংগঠনের প্রধান সদস্য অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়৷ উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছর ধরে, বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পশু বলি বন্ধ হয়েছে, তবে এবার সর্বোচ্চ বন্ধ হবে এমনটাই আশাবাদী বর্ধমানের পশুপ্রেমী সংগঠন৷
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার