ISRO এর চন্দ্রযান-২ নিয়ে অনেকের মনে ভুল ধারণা জন্মেছে। অনেকে ভেবে নিয়েছেন যে চন্দ্রযান-২ সফল হয়নি বা সামান্য সফল হয়েছে। জানিয়ে দি চন্দ্রযান-২ প্রায় ১০০% সফলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর কারণ- চন্দ্রযান-২ এর মূলত দুটি উদেশ্য ছিল। প্রথমত অর্বিটারকে সঠিকভাবে চাঁদের চারিদিকে চক্কর কাটানো। দ্বিতীয়ত, ল্যান্ডারকে চাঁদের বুকে নামিয়ে সেটার ভেতর থেকে রোভারকে বের করে চাঁদের চলাফেরা করানো। প্রথম উদেশ্য ১০০% সফল হয়েছে। আর এটাই ছিল মূল কাজ, অর্বিটার এবার ৭ বছর ধরে ISRO কে চাঁদের ছবি ও নানা তথ্য প্রেরণ করতে পারবে।
দ্বিতীয় উদেশ্য ছিল যে টেকনোলজি প্রদর্শন। অর্থাৎ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার জন্য টেকনোলোজি কাজ করছে কিনা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল যে লান্ডার ক্র্যাশ হয়েছে। কিন্তু এখন এটা স্পষ্ট যে লান্ডার চাঁদে নেমে গেছে এবং কোনো ক্ষতি ছাড়াই নেমেছে। সমস্যা একটাই যে ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। অর্থাৎ এটাও প্রায় ৯৮% এর উপরে সফল। যদি বাকি দিনের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে যায় তাহলে এটাও ১০০% সফল হবে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে ভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। যার জন্য অনেকে ভাবছেন যে মিশনরি অসফল হয়েছে। তবে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ISRO এর উপলব্ধিটা ধরতে পেরেছেন। যার জন্য NASA থেকে শুরু করে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ISRO বিজ্ঞানীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। ভারতের বিজ্ঞানীরা দুর্দান্ত কাজ করেছে বলে দাবি চীনের বিজ্ঞানীদের।
চীনের সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভারতের বিজ্ঞানীদের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের এক বিজ্ঞানী বলেছেন, যারা মহাকাশ অন্বেষণ করার চেষ্টা করছেন তারা সবাই আমাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও প্রশংসার দাবিদার। চীনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস এক বিজ্ঞানী বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, চন্দ্রায়নের অ্যাটিচিউড কন্ট্রোল থ্রাস্টার (ACT) নিয়ন্ত্রণ না হওয়ার ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগের বিচ্ছেদের কারণও হতে পারে।