বোলপুর,১২ সেপ্টেম্বরঃ বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃনমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম। অভিযোগ ছিল,বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করে তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছিল,গত ৭-ই সেপ্টেম্বর ওই গ্রামে বিজেপির নেতা-কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাতে যায়। সেই পতাকা লাগানো নিয়ে প্রথমে তৃনমূলের সাথে বিজেপির বচসা বাধে। তারপরেই শুরু হয় বোমাবাজি। অভিযোগ,বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইকে লক্ষ্য করে গুলি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি তাকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বর্ধমান মেডিকেল কলজে ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। এরপরেই বিজেপি নেতার মৃত্যু কে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতা কর্মীরা বীরভূমে সিউড়ির এসপি অফিস ও নানুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে। যদিও সেই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে এখনও পর্যন্ত। সেই বিক্ষোভ থেকেই বিজেপি নেতা কর্মীরা জানান, “স্বরূপ গড়াইয়ের খুনের মূল অভিযুক্ত কেরিম খানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” যদিও এই ঘটনায় ওই মৃত বিজেপি কর্মীর ভাই অরুপ গড়াই গত ৭-ই সেপ্টেম্বর নানুরে তৃনমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান সহ এগারো জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত কেরিম খানকে গ্রেফতার করতে পারেননি। জানা গেছে,ঘটনার পর থেকেই গ্রাম ছাড়া ছিল কেরিম খান।
পুলিশের খাতায় ফেরার ওই তৃনমূল নেতাকে বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠকে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায়। সেই ছবি পোস্ট হয় মৎস্য মন্ত্রী chandranath sinha ফেসবুক পেজে।
ছবিঃ মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ফেসবুক পেজে আপলোড হয়েছে সেই ছবি।
যদিও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তৃনমূল কংগ্রেস।
এই বিষয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা বলেন,“কোথায় নিরপেক্ষতা? আমাদের দলের কর্মী খুনের মূল অভিযুক্ত তৃনমূল জেলা সভাপতি পাশে বসে। আবার সেই ছবি পোস্ট করে তাদেরই মন্ত্রী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই।”