বাংলা হান্ট ডেস্ক:শুক্রবার আবারও পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিল ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা। শুক্রবার বলা হলো, এখন থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির ন্যুনতম দাম ৮৫০ ডলার ঠিক করা হলো।চলতি বছর প্রথমে খরা ও পরে বন্যার কারণে ভারতের মূল পেয়াজ উৎপাদনকারী রাজি মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে পেঁয়াজের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে শুধু পেঁয়াজ নয়, দাম বেড়েছে নিত্য পণ্যের ও। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ইতোমধ্যে স্থলবন্দর কাস্টমসের হাতে পৌঁছেছে।যার ফলে শনিবার থেকেই খুলতে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের এলসি খুলতে হবে নতুন দামে।এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরের সূত্র অনুযায়ী, খুচরো বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে। যা সপ্তাহ দুই আগেও এই দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ রুপি । এই বিষয় ঢাকার পাইকারদের মত , এখন ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসে। তার সঙ্গে দেশের উৎপাদন মিলিয়ে দেশের বাজারে ঘাটতি খুব বেশি হবে না। ফলে খুচরো বাজারে দাম হয়ত কিছুটা বাড়বে ঠিকই তবে অবস্থা খুব একটা খারাপ হবে না।বাংলাদেশের আমদানিকারকদের মত, গতবছর ফেব্রুয়ারির পর ভারতীয় পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের কোনো বিশেষ বাধকতা না থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়নি।কিন্তু গত সপ্তাহেও তারা প্রতি টন ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে আমদানি করেছেন। এখন ভারত ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দিয়েছে। ফলে এই দাম বেড়ে প্রায় তিন গুণ হবে।ঢাকার বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।সরকারি হিসাব বলছে বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মত, যাতে পুরো হয়না অভ্যন্তরীণ চাহিদা। ফলে ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন মতন আমদানি করতে হয়। স্বল্প দূরত্ব আর সহজলভ্যতার কারণে আমদানির বেশিরভাগটা ভারত থেকেই হয়।এর আগে ২০১৭ সালের শেষ দিকেও একবার ভারত নিজেদের বাজার সামাল দিতে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৪৩০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার করেছিল। তখন ঢাকার খুচড়া বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে পা্ওয়া গেলেও দেশি পেঁয়াজের দাম ঢাকার বাজারে
১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল।
সামনের সপ্তাহেই বাংলা দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক।একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আজ শুক্রবার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। গতকালও আমরা প্রতিটন পেঁয়াজ ৩০০ ডলারে আনতে পেরেছি। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আভাস দিচ্ছিলেন এই দাম দুই এক দিনের মধ্যে ৪০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু ভারত সরকার বাড়িয়ে দিল তারচেয়েও অনেক বেশি।” অন্যদিকে সাতক্ষীরার ভোমড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তদানিকারণ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান এর ধারণা ,ভারত যে ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিয়েছে, তাতে খুচড়া বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি জানান, তিনি সর্বশেষ ২৫০ ডলার দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ এনেছেন।