বাংলা হান্ট ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা আগে থেকেই ছিল, তার ভিত্তিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন কাউন্সিলর সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি পরিচালিত গাড়ুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিং এর বিরুদ্ধে আনল অনাস্থা প্রস্তাব। অভিযোগ তাদের উন্নয়নের কাজে প্রতিনিয়ত বাধা দিচ্ছেন চেয়ারম্যান সুনীল। এর আগে যদিও তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গত সপ্তাহতেই এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করে ছিলেন।
গাড়ুলিয়া পুরসভায় রয়েছে ২১টি আসন। চেয়ারম্যান সুনীল সিং সহ মোট ১২ জন কাউন্সিলর কিছু দিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। এই কারণেই দু মাস আগে তৃণমূলের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যায় গাড়ুলিয়া পুরসভা।
কিন্তু বর্তমানে এই ঘটনার হঠাৎই ভোল পাল্টালো বিজেপিতে যাওয়া চার কাউন্সিলর দু মাসের মধ্যেই নিজেদের ভুল স্বীকার করে আবার নতুন করে তৃণমূলে ফিরেছেন। যার জেরে ঘটেছে মিরাক্কেল। গাড়ুলিয়া পৌরসভার মোট ২১ টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১২টি, বিজেপি ৮টি ও একটি ফরওয়ার্ড ব্লক। এই শক্তির সদ্ব্যবহার করে এবার তৃণমূল এবার চেয়ারম্যান সুনীল সিং-এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রাস্তাব আনল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস বাঁকুড়ায় BJP পরিচালিত দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল। পঞ্চায়েত ভোটে ওন্দার কল্যাণী ও চূড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জিতেছিল BJP৷ কিন্তু ঘটনাচক্রে এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ সদস্যই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে৷
প্রসঙ্গত শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ও NRC-র বিরুদ্ধে ওন্দা ব্লকের লেদাশন এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করে৷ মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা উপস্থিত ছিলেন সেই সভায়৷ এই পথ সভাতেই ওন্দার কল্যাণী ও চূড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন৷ কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ৯৷ তাদের মধ্যে তৃণমূল রয়েছেন ৩ জন এবং ৬ জন BJP৷ কিন্তু বিজেপি সদস্যদের মধ্যে পাঁচজনই গতকাল তৃণমূলে যোগদান করেছেন৷ যার জেরে এই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো গেরুয়া শিবির৷
অন্যদিকে আবার চূড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ৯৷ এদের মধ্যে তৃণমূলের সদস্য রয়েছে ৪ জন ও BJP-র ৫ জন৷ কিন্তু গতকাল ঘটনাচক্রে তাঁদের মধ্যে পঞ্চায়েত প্রধান-সহ আরও দু’জন তৃণমূলে যোগ দেন৷ যার ফলে চুরামনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল৷