বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বাংলায় ভালোই ফল পেয়েছে বিজেপি বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকেই বহু সমালোচনায় জড়িয়েছেন বিভিন্ন বিজেপি নেতা। এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে আবার দায়ের করা হয়ছে FIR, গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এবার ফের বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক বিজেপি নেতা কে।
বীরভূমের বিজেপির জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হলেন। গতকাল রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনমাস আগে মল্লারপুরে একটি ক্লাবে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত তিনি। এই অভিযোগে এখন বেহাল দশা অতনুর।
প্রসঙ্গত, গতকাল ফের প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজিপি পঞ্চায়েত প্রধান কে। ময়নাগুড়ির ধরমপুর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এই ঘটনায়। অভিযুক্ত এই পঞ্চায়েত প্রধানের নাম বিপুল দাস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সরকারি প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, খোদ জলপাইগুড়ি পুলিস সুপার ও তাঁর টিম রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ গ্রেফতার করেন বিপুল দাসকে। এই ঘটনায় পুলিস সুপার অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিপুল দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নিয়েছেন ১০০ দিনের কাজ সহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নাম করে। বিপুলের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ, যার জেরে তার বিরুদ্ধে উঠে আসে প্রচুর তথ্য এবং প্রমাণ। এই সমস্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরই পুলিশ গ্রেফতার করে বিপুল দাস কে।
কিন্তু অন্যদিকে বিপুল দাসের আইনজীবী কল্লোল ঘোষের দাবি জানিয়েছেন, এই কাটমানির ঘটনায় তাঁর মক্কেলকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয় তিনি আরো অভিযোগ করেন যে রাত আড়াইটার সময় ময়নাগুড়ি তৃণমূল ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত পুলিশের সামনেই পঞ্চায়েত প্রধান বিপুল দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। উল্টে দায়ের করা হয়েছে পাল্টা ভাঙচুরের অভিযোগ। এদিন পঞ্চায়েত অফিসের সামনেও বিক্ষোভে সামিল হন দু’পক্ষ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কাটমানি ইশুতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত পুলিশ দাঁড়িয়ে। এর একমাত্র কারণ তারা এত কাটমানি নিয়েছেন এবং যেসব মানুষদের থেকে নিয়েছেন তাঁরা এবার বাড়ি বয়ে এসে তাদের টাকা ফেরত চাইছে। এখন তো সব জায়গায় কাটমানি, তোলাবাজি। কেউ ব্যবসা করতে গেলেও তোলা দিতে হচ্ছে। পড়াশোনা করতে গেলেও তোলা দিতে হচ্ছে।’ দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, ‘এই কাটমানি ঝ তোলাবাজি বন্ধ করার একটি মাত্র উপায় তৃণমূলকে প্রত্যেক জায়গায় হারাতে হবে। বাঙালি মানে আজ চোর, চিটিংবাজ হয়ে গেছে। এই বদনাম ঘোচাবার জন্য পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন করতে হবে।