বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজো,নামটা শুনলেই বৌবাজারের দুর্গা পিথুড়ি লেনে ও স্যাকড়া পাড়ার কথা মনে পড়ে।সেখানে দুর্গাপুজোর চেয়ে বেশি বিখ্যাত বিশ্বকর্মা পুজো। কারন এই দুটি জায়গায় প্রায় সব বাসিন্দার পেশা কোনও না কোনওভাবে যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় সাড়ে চারশো গয়নার কারিগর, মনিকার, হল মার্ক শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছেন এখানে। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিল্পকলা ও কারিগরের দেবতা বিশ্বকর্মা এখানে পূজিত হন মহা ধুমধামে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটার পরই ভালো দিনের সূচনা হবে ব্যাবসায় এরকম মনে করা হয়। কিন্তু এবারে তার ব্যতিক্রম।
দুর্গা পিথুরি লেন ও স্যাকরা পাড়া- দুটোরই অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্ত। বউবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একটার পর একটা অট্টালিকা সম বাড়ি। সঙ্গে চাপা পড়েছে প্রচুর মানুষ এর সপ্ন, পেট চালানোর দোকান এবং আরো অনেক কিছুই। বিপর্যয়ের সেই ভয়ানক সময় এর পর আজ প্রথম উত্সবের আলোয় সেজে উঠছে বৌবাজার সোনাপট্টি।
তবে উত্সব এবার ঘরের গণ্ডি ছাড়িয়ে সর্বজনীন। গৌর দে লেনে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বড় করে হচ্ছে একটি মাত্র বিশ্বকর্মাপুজো। আর সেখানেই আমন্ত্রিত আশেপাশের বিপর্যস্ত সব কটি পাড়ার সেই সব মানুষ। কারণ এইবার আলাদা করে তাদের পুজো করার সামর্থ নেই। তাই সবাই এবার একসাথেই কারিগরের দেবতা কে আরাধনা করছেন , আবারও এক ভালো সূচনার আসায়।